AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata Death Mystery: বাড়িতে তিনটে লাশ, গাড়িতে ঘুমিয়েই পড়লেন প্রসূন! ট্যাংরা-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর বয়ান

Kolkata Death Mystery: দুই ভাইয়ের স্ত্রী ও এক ভাইয়ের কন্যার দেহ পড়েছিল বাড়িতে। মঙ্গলবার রাতে দে পরিবারে কী এমন ঘটেছে, তা বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ। খুন নাকি আত্মহত্যা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Kolkata Death Mystery: বাড়িতে তিনটে লাশ, গাড়িতে ঘুমিয়েই পড়লেন প্রসূন! ট্যাংরা-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর বয়ান
প্রণয় দে ও প্রসূন দেImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Feb 19, 2025 | 10:44 PM
Share

কলকাতা: বাড়িতে পড়ে দুই মহিলা ও এক কিশোরীর মৃতদেহ। অন্যদিকে, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ওই পরিবারেরই তিন সদস্য। ট্যাংরার ঘটনায় রহস্যের জাল ক্রমশ জটিল হচ্ছে। সূত্র খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশও। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা। এরই মধ্যে সামনে এল আহতদের বয়ান। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তার বর্ণনা দিয়েছেন দে পরিবারের দুই ছেলে প্রসূন দে ও প্রণয় দে।

আহত প্রণয় দে’র বয়ানে ‘ড্রাগ ওভারডোজে’র উল্লেখ রয়েছে। হাসপাতালের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তাঁর কোমর ডানদিক, পা ও কপালে আঘাত রয়েছে। কোমরের গুরুত্বপূর্ণ হাড় ভেঙে গিয়েছে। তাঁর বাঁ দিকের কপালে রক্ত জমাট হয়ে আছে। কপালের একাংশে চোট রয়েছে। নাকের হাড় ভেঙেও রক্ত বেরিয়েছে।

অন্যদিকে, আর এক ভাই প্রসূন দে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনিই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়ি চালানোর সময় ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। প্রসূনের বুকের আঘাত অত‍্যন্ত গুরুতর। ডান দিকের পাঁজরের চারটে হাড় ভেঙে গিয়েছে। বাঁ দিকের পাঁজরের তিনটে হাড় ভেঙেছে। এছাড়া ফুসফুসের বাইরের আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হাওয়া ঢুকেছে, ফলে রোগীর অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়েছে। বাঁ হাতের কব্জি সংলগ্ন হাড়ও সরে গিয়েছে তাঁর। ক্ষত রয়েছে বুকে ও পেটে। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের এমন‌ই বয়ান দিয়েছেন দুই ভাই।

এছাড়াও গাড়িতে ছিলেন এক ভাইয়ের ছেলে প্রতীপ দে। ১৪ বছরের ওই নাবালকের বাঁ দিকের হাতের বড় অংশ জুড়ে ক্ষতস্থান রয়েছে। আঘাতপ্রাপ্ত ওই জায়গা ফুলে রয়েছে। দুই হাত-পা ক্ষতবিক্ষত, ডান হাতের ভেঙে যাওয়া হাড়ের অস্ত্রোপচার হয়েছে। বাঁ দিকের কবজি, কোমরের হাড়ও ভেঙেছে। মেরুদণ্ডের একাধিক হাড় ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে, ট্যাংরার ঘটনায় খুনের মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। মৃত দুই মহিলার বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে তদন্ত।