Kolkata Rain: ভোর রাতে বিকট শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা, বৃষ্টিস্নাত নগরী থাকল আরেক বিপর্যয়ের সাক্ষী

Kolkata Rain: ধ্বংসস্তূপের নীচে যে কয়েকজন আটকে পড়েছে, তা বুঝতে পেরে আগেই উদ্ধারকাজ শুরু করেন স্থানীয়া।

Kolkata Rain: ভোর রাতে বিকট শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা, বৃষ্টিস্নাত নগরী থাকল আরেক বিপর্যয়ের সাক্ষী
আহিরীটোলায় ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2021 | 9:07 AM

কলকাতা: দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন। বিপদ-দুর্ঘটনা এড়াতে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাঝরাত থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এরই মধ্যে বিপদ। কলকাতায় আবারও ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ি। ১০ নম্বর আহিরীটোলা স্ট্রিটে একটি পুরনো বাড়ির একাংশ ভোর রাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে।  সন্তানকে নিয়ে ভিতরে আটকে পড়েছেন এক মহিলা। বাড়ির অনান্য সদস্যরা বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় শিশু-সহ ওই মহিলাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ঘটনাস্থলে দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বাহিনী রয়েছে। রয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরাও।

রাত থেকে শুরু হয়েছে এক টানা বৃষ্টি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, দোতলা ওই বাড়িটি দীর্ঘদিনের পুরনো। দীর্ঘদিন তাতে কোনও সংস্কারও হয়নি। তবে পুরনো ওই বাড়িতে কয়েকটি পরিবার থাকে। ভোর রাতে স্থানীয়রা হুড়মুড়িয়ে কিছু ভেঙে পড়ার শব্দ পান। বৃষ্টির সকালে তাঁরা প্রথমে তাতে আমল দেন নি। স্থানীয় দোকানদাররা বিষয়টি দেখতে পান। পরে তাঁদের চিত্কারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। বাড়ির ভিতর থেকে আর্তনাদ শুনতে পান।

ধ্বংসস্তূপের নীচে যে কয়েকজন আটকে পড়েছে, তা বুঝতে পেরে আগেই উদ্ধারকাজ শুরু করেন স্থানীয়া। খবর যান দমকল, পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে আসেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যরাও। উদ্ধারকাজ চলছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি সরানো এখনও সম্ভব হয়নি। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। টানা বৃষ্টিতেই বাড়িটি ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখই বৃষ্টির মাঝে বড়বাজারের এক নম্বর বাবুলাল লেনের একটি পুরনো বাড়ি। বাড়িটি চার তলা। সেটি পরিত্যক্ত। দীর্ঘদিন তাতে সংস্কার হয় না। বাড়িটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ছিল। টানা বৃষ্টিতে সেটি ভেঙে পড়ে।

এর আগে জুন মাসেই টানা বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে শিয়ালদার একটি পুরনো বাড়ি। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ঠিক পাশেই ওই তিন তলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে পাশের বাড়িতে। একজন আহত হন।

পুরসভার রেকর্ডে শহরে বিপজ্জনক বাড়ির সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। কিন্তু বিপজ্জনক অংশ না ভাঙার ফলে যে ঝুঁকির আশঙ্কা, তাতে পুরসভার ভুমিকা কী? প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক মহলে। সরকারি হিসেবে ৩ হাজার বলা হলেও বেসরকারি হিসেব অন্যই বলছেন বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরা। তাঁদের কথায়, শহরে এমন ক’টা বাড়ি রয়েছে, তার তথ্যও নেই পুরসভার কাছে। কেউ অভিযোগ করলে তখন পুরসভা জানতে পারে যে সংশ্লিষ্ট নির্মাণটি বেআইনি। বরোভিত্তিক দল থাকলেও পুরকর্মীর অভাবে অনেক সময়েই বেআইনি নির্মাণের উপর নজরদারির কাজটা ঠিক ভাবে করা যায় না বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

বর্ষাকালে বিপজ্জনক বাড়ির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। কারণ, বৃষ্টির জল শুষে ইট-পলেস্তরা দিয়ে তৈরি কাঠামো ফুলে ওঠে। ফলে সেগুলি খসে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। টানা বৃষ্টি হলে তাই শহরের বহু জায়গায় এ ভাবে বাড়ি ভেঙেও পড়ে। পুরসভার বিল্ডিং দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘সারা শহরেই বৃষ্টির মরসুমে বাড়তি চিন্তা থাকে। বেশির ভাগ বাড়ি ভাঙার ঘটনা এ সময়টাতেই ঘটে।’’ সে কারণে বরোভিত্তিক বিপজ্জনক বাড়ির তালিকাও রাখে পুরসভা।

আরও পড়ুন: Weather Update: খেলা শুরু রাত থেকেই! বেলা বাড়তেই দুর্যোগ বাড়বে কলকাতা-সহ এই জেলাগুলিতে