
কলকাতা: ভোটগণনা শেষ হতে না-হতেই কালীগঞ্জে বোমাবাজিতে মৃত্যু নাবালিকার! উঠেছে বিস্ফোরক অভিযোগ। বিজয় মিছিল থেকে সিপিএম সমর্থকের বাড়ি লক্ষ্য় করে বোমাবাজি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই নিয়ে মুখ খুলেছেন DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এবার তাঁকেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বললেন, ‘মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় কি জানেন, ওনার এক জ্যেঠুর নাম রবিন দেব থেকে সেদিন রিগিং দেব হয়ে গিয়েছিল।’
আসলে কালীগঞ্জের বোমাবাজির ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেন মীনাক্ষী। সোমবারই ঘটনার পর মীনাক্ষী বলেন. “আসলে এটা বিজয়োল্লাস নয়, এটা গুন্ডাগিরি। পশ্চিমবঙ্গে এই গুন্ডারাজ সরকারি মদতে চলছে।” কালীগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কুণালও মঙ্গলবার বলেন, “এটা ঘটনা অত্যন্ত আপত্তিকর, অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা তীব্র প্রতিবাদ করেছি। মুখ্যমন্ত্রী তীব্র বিষয় নিন্দা করেছেন। পুলিশ পদক্ষেপ করছে। কাল রাত পর্যন্ত চার জন গ্রেফতার হয়ে গিয়েছে। কোন দল, কে আমাদের জানার দরকার নেই, মেরে পিঠের চামড়া তুলে দেওয়া উচিত।” কিন্তু সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে গুলিচালনার প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
কুণাল বলেন, “সিপিএম বা বিজেপি বা কংগ্রেস, যাদের জমানা রক্তে লাল ছিল, যে বালিগঞ্জে উপনির্বাচনে সিপিএমের গুলিতে মৃতদেহ পড়েছিল, তারা যেন এটা নিয়ে রাজনীতি করতে না যায়।” আর সেই কথা বলতে গিয়েই মীনাক্ষীর প্রসঙ্গ টানেন তিনি। বলেন, “মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় কি জানেন, ওনার এক জ্যেঠুর নাম রবিন দেব থেকে সেদিন রিগিং দেব হয়ে গিয়েছিল। তারপর এসব নিয়ে কথা বলতে আসেন। যদি মিছিল থেকে কেউ অসভ্যতা করে থাকে, শাস্তি হোক.. আবার যদি কেউ জয়কে বদনাম করার জন্য কেউ যদি অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে, বিরোধীদের সুবিধা করে দিয়ে থাকে, সেটারও তদন্ত হোক।” তাঁর কথায়, “খারাপ ঘটনা ঘটলে, তৃণমূল কংগ্রেসই তার নিন্দা করে, তৃণমূলের পুলিশই তার ব্যবস্থা নেয়।”
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের জয়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভয়াবহ ঘটনা নদিয়ার কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় এক শিশুকন্যার। অভিযোগ, তৃণমূলের বিজয়োল্লাস থেকেই বোমা ছোড়া হচ্ছিল। তাতেই ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।