
কলকাতা: ‘বন্দি’ মন্ত্রী সরাতে সংশোধনী বিল পেশ করেছেন কেন্দ্র। এই বিলের অর্থ, অভিযুক্ত হয়ে পুলিশ হেফাজতে গেলে অপসারণ করা হবে সংশ্লিষ্ট নেতা-মন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রীকেও। লোকসভায় ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেছেন অমিত শাহ। শুক্রবার, কলকাতার নতুন তিনটি মেট্রো রুট উদ্বোধনের পর দমদমের সভা থেকে আরও একবার এই ইস্যুতে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বিল প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর কথায়। তৃণমূলকে বিঁধে দুর্নীতির অভিযোগে জেল খাটা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামও উঠে আসে তাঁর মুখে। আর দমদমে প্রধানমন্ত্রীর সভা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠকে বসেন শাসকমন্ত্রী শশী পাঁজা ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। আগেও এই বিল ইস্যুতে সরব হয়েছে তৃণমূল। এবার সাংবাদিক বৈঠক করে জায়েন্ট স্ক্রিনে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নারদ ফুটেজ দেখাল তৃণমূল।
সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিল আনছে বিজেপি। এদিকে বিজেতেই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা আছে। আগে তাঁদের বিজেপি থেকে বহিষ্কার করুক।”
ওই ফুটেজের প্রেক্ষিতেই মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘পারলে ব্যবস্থা নিয়ে দেখান। সরকারি প্রক্রিয়া তো দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়। বিজেপি-র সদিচ্ছা থাকলে এঁদের দল থেকে তাড়াক। আসলে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি নির্মূল করতে চান না। তিনি চান বিরোধীদের নির্মূল করতে।’’
উল্লেখ্য, বুধবার লোকসভায় নতুন বিল পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযুক্ত হয়ে পুলিশ হেফাজতে গেলে অপসারণে বিল আনছে কেন্দ্র। লোকসভায় ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করবেন অমিত শাহ। নতুন সংশোধনী বিলের আওতায় প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সকলেই পড়বেন। কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোনও সরকারের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হন কিংবা যে কোনও মন্ত্রী যদি কোনও গুরুতর অপরাধে গ্রেফতার হন, টানা ৩০ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকলেই এই আইন প্রযোজ্য হবে।