কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের আবহে হিংসা এখনও অব্যাহত। মনোনয়নপর্ব থেকে এই হিংসার ছবি দেখেছে বাংলা। এখনও কোথাও শাসকদলের নেতা, কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। কোথাও বাড়ি জ্বলছে বিরোধীদের। এরইমধ্যে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেই। সেই বিতর্কে নয়া মোড় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্যে। শুক্রবার কুণাল বলেন, পুলিশের একাংশ পুরনো সময়ে নিয়োগের প্রতি আনুগত্য দেখাচ্ছে। এদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। শুধু পুলিশ কর্মীই নয়, ভোটকর্মীদের একাংশের প্রতিও বার্তা কুণালের। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টিও মান্যতা দিয়েছেন কুণাল।
এর আগে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মুখে শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্তুতি। বাহিনীকে কিছুটা নিরপেক্ষ বলে দাবি করেছেন সাংসদ। মানুষ ভয় পায় তাদের, সে কথাও বলেছেন তিনি। হিংসা-নিয়ন্ত্রণে বাহিনীই যে ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারত, কার্যত সে কথাই শোনা গিয়েছে তৃণমূলের বর্ষীয়ান এই সাংসদের মুখে। এবার তাপস, কুণালও।
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “কিছুক্ষেত্রে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ছিল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ ঘটনার সময় যেতে দেরি করেছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের একাংশ বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করেছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ ও ভোটকর্মীদের একাংশ পুরনো দিনের নিয়োগের আনুগত্যের পরিচয় দিয়েছে। এরা ক্রমশ আইডেন্টিফায়েড হচ্ছেন।” অনেকেই বলছেন, এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কি বাম আমলে নিয়োগ হওয়া পুলিশের দিকে আঙুল তৃণমূল মুখপাত্রের?
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। তিনি পুলিশের একাংশকে ‘অপদার্থ, অকর্মণ্য’ বলে তোপ দেগেছেন। ভাঙড়ের তীব্র অশান্তির পর বারবার সেখানকার তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর শওকত মোল্লার গলাতেও শোনা গিয়েছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।