
কলকাতা: কসবা কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র বিতর্ক। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ। সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল বলেন, ” তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি কর্মী এই ঘটনাকে নিন্দা করছে। যে জানোয়ারগুলো এগুলো করেছে, মেরে পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া উচিত। যত অপরাধ রয়েছে, সব থেকে কুৎসিত অপরাধ জোরপূর্বক যৌন অত্যাচার। নাম-পদবী-জাতি বড় কথা নয়। শাস্তি হওয়া উচিত, এটাই বড় কথা।” তবে তিনি এটাও বলেন, “আইনের শাসন মেনেই চলতে হবে। পুলিশকে অনুরোধ করছি সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করুক। অপরাজিত বিল তো পাশ হয়নি। যেটা রয়েছে, তার দ্বারাই যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। যতদিন হোক বন্দি অবস্থায় থাকুক।”
প্রসঙ্গত, কসবার এক ল’কলেজের আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় ওই কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র। অভিযুক্তর ফেসবুক প্রোফাইলেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উল্লেখ। সেখানে নিজেকে তিনি দক্ষিণ কলকাতা জেলা টিএমসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে পরিচয়। যদিও তাঁকে দলের নেতা হিসাবে মানতে নারাজ তৃণমূল। ওই নেতার সঙ্গে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের ছবি সামনে এসেছে। ছবি সামনে এসেছে আরও একাধিক নেতার সঙ্গে। তাতেই অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের।
কুণাল বললেন, “বিজেপি সিপিএম, কংগ্রেসের এই বিষয়ে কথা বলার কোনও নৈতিক অধিকার নেই। সিপিএম কি জানে, তাদের নেতামন্ত্রীরা কী কী ঘটনা ঘটিয়েছে।” এই কথা প্রসঙ্গেই সিপিএম ও বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীর নামও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, সিপিএম ও বিজেপির একাধিক নেতার সম্পর্কে বিতর্ক উঠেছে, তাঁদেরও বিস্ফোরক-বিতর্কিত ছবি, ভিডিয়ো সামনে এসেছে। অথচ সেই সব নেতাদের সঙ্গেই আবার সিপিএম-বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ছবিও রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাঁরাও কি সমানভাবে দুষ্ট?
কুণালের কথায়, “তৃণমূল একটা মাস বেসড পার্টি। সেখানে নেতানেত্রীদের কাছে এসে কেউ ছবি তুলতেই পারেন। তাই দিয়ে যদি তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলতে হয়, তাহলে সিপিএম-বিজেপির নেতৃত্বের দিকেও আঙুল তুলতে হবে।”