কলকাতা: ভরা অগ্রহায়ণ! বিয়ের মরসুম। বিয়েবাড়িতে এখন সানাইয়ের সুর! তবে এবারের বিয়ের মরসুম বিজেপি-র কাছে হয়ে উঠেছে বাড়তি আকর্ষণের বিষয়ও। নেপথ্যে ‘নয়া অ্যাসাইমেন্ট’। আর তারই মধ্যে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের ‘বিয়ের ফুল’ ফোটানোর চেষ্টা কুণাল ঘোষ!
বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে নবদম্পতিকে দিয়ে মিসড কল! সদস্যপদ সংগ্রহের অভিনব এই পন্থায় এখন চর্চায় বিজেপি। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সেট করেছেন নতুন একটা ট্রেন্ড। আর তাতে গা ভাসিয়েছেন বিজেপি-র আরেক নেতা ধ্রব সাহাও। কিন্তু বিজেপির এই কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার সরাসরি শমীক ভট্টাচার্যকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে একটি বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেই ফেললেন, “লোকের বাড়ি না গিয়ে, লোকের বউকে মিসড কল না দিয়ে… শমীক তো নিজে বিয়ে করতে পারেন। ওঁ এখনও চিরসবুজ, সাহিত্যিক মানুষ, চমৎকার কথা বলেন। ওঁ একটা বিয়ে করুন। তাতে ওঁর নিজের জীবনে বউ আসবে। আর বউকে দিয়ে মিসড কল দিয়ে বিজেপি একজন ভালো সদস্য পাবে।”
শমীক ভট্টাচার্য বিয়ে করলে, সেই বিয়ে নিজে নিমন্ত্রিত থাকারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন কুণাল। বলেন, “সেই বিয়েতে আমি যাব। আর কেউ যাক না যাক, কুণাল ঘোষ যাবে…”
বিজেপি এখন সদস্য পদ অভিযান কর্মসূচি চালাচ্ছে। সম্প্রতি বিয়েবাড়িতে গিয়ে নবদম্পতিকে মিসড কল করিয়ে বিজেপিতে যোগদান করাতে দেখা গিয়েছে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে। বেশ কিছুদিন ধরেই এই খবরই আলোচনায় রয়েছে। শুধুমাত্র শমীক নন, বিজেপিনেতা ধ্রুব সাহাও একইভাবে নবদম্পতিকে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছেন। এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও। তাঁর বক্তব্য, “আসলে দিল্লির নেতারা এসে এক কোটি লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গিয়েছে। যে পদ্ধতিতে সদস্যপদ গ্রহণ চলছে, তা অত্যন্ত হাস্যকর।” কুণালেরও বক্তব্য, “এইভাবে সদস্যপদ গ্রহণ করা সম্ভব নয়। আমি বলি, শমীক বিয়ে করুক। তাতে ওঁর জীবনে নতুন কেউ আসবে।”
সব শুনে শমীক বলেন, “আমার যদি বিবাহের কোনও সম্ভাবনাও থেকে থাকে, তাহলেও আমি কেন কুণাল ঘোষকে নিমন্ত্রণ করতে যাব? ওঁ কি ওঁর কোনও বিবাহ বার্ষিকীতে আমাকে নিমন্ত্রণ করেছেন? আমাকে তো নিমন্ত্রণ করতে পারত। আমি তাহলে কেন আমার বিয়েতে ডাকতে যাব?”