Kurmi Movement: দাবি নিয়ে আরও এক প্রস্থ আলোচনা, আজ নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে কুড়মিদের প্রতিনিধি দল

Kurmi Movement: তিনি এক সময় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর সঙ্গে পুরুলিয়ার একটি ভাগের বিরোধ আছে। অন্য দল আদিবাসী কুর্মি সমাজ আসছে না। তাঁদের অভিযোগ গিয়ে লাভ নেই। আগে বহুবার বৈঠক করা হয়েছে।

Kurmi Movement: দাবি নিয়ে আরও এক প্রস্থ আলোচনা, আজ নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে কুড়মিদের প্রতিনিধি দল
রাস্তা আটকে চলছে বিক্ষোভ (ফাইল ছবি)

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 11, 2023 | 10:51 AM

কলকাতা: অবরোধ তুলে নিয়েছেন। কিন্তু আন্দোলন এখনও জারি। কুর্মি সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠকে বসছেন মুখ্য়সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
পশ্চিমবঙ্গ কুর্মি সমাজের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন রাজেশ মাহাতো। তবে দাবি এক থাকলেও কুর্মি সমাজ আজ দ্বিধা বিভক্ত।
আদিবাসী কুর্মি সমাজ এই বৈঠকে থাকছেন না বলে খবর। মঙ্গলবার রাজেশ মাহাতোর নেতৃত্বে ১০ জনের প্রতিনিধি দল আসছে নবান্ন। এই কুর্মি সমাজের একটি ভাগ পশ্চিমবঙ্গ কুর্মি সমাজ, তাঁদের নেতা রাজেশ মাহাতো, তিনি এই আন্দোলনের পুরনো নেতা। রাজেশের বাড়ি ঝাড়গ্রামে। তিনি এক সময় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর সঙ্গে পুরুলিয়ার একটি ভাগের বিরোধ আছে। অন্য দল আদিবাসী কুর্মি সমাজ আসছে না। তাঁদের অভিযোগ গিয়ে লাভ নেই। আগে বহুবার বৈঠক করা হয়েছে।

কুর্মি সমাজের বেশ কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন রেল অবরোধ বা রাস্তা অবরোধ হচ্ছিল। মূলত দক্ষিণ -পূর্ব রেলের খড়গপুর -আদ্রা, খড়্গপুর – টাটা শাখার রেল পরিষেবা ব্যহত হয়। কুর্মি সমাজের অভিযোগ, প্রশাসনের চাপ ও সাধারণ মনুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে তাঁরা এই অবরোধ তুলে নেন। মূলত তাঁদের এসটি কোটার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে – এই তাঁদের দাবি। আগে তাঁরা প্রিমিটিভ ট্রাইভের অন্তর্গত ছিলেন। এরকম ১৩টি আদিবাসী সম্প্রদায় ছিল। ১২টিকে এসটি কোটার অর্ন্তভুক্ত করা হয়। খালি কুর্মি সমাজকে ওবিসি করা হয়। তাঁরা এই ওবিসি কোটা চান না। এসটি কোটার আওতায় আনতে হবে এই দাবি।

গত ১ এপ্রিল থেকে পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকা জুড়ে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে, লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচির নেওয়া হয়। এর আগেও কুড়মিদের তালিকাভুক্ত করার জন্য বিভিন্ন দাবিতে পুজোর আগে খড়্গপুরের খেমাশুলিতে কেন্দ্র সরকারের অধীনে থাকা রেলপথ আর জাতীয় সড়ক টানা পাঁচ দিন ধরে অবরোধ করেছিলেন। বিশাল প্রভাব পড়েছিল গোটা রাজ্যে। এবারও পাঁচ দিন পরই উঠল অবরোধ। শনিবার রাতভোর পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন কুড়মি আন্দোলনের নেতৃত্ব। সারা রাত আলোচনা করেও কোনও সমাধানসূত্রে বেরোয়নি। রবিবার সকালে কুড়মি তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, তবে সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।