কলকাতা: সপ্তমীর রাতে কলকাতা থেকে শুরু করে শহরতলি সর্বত্র নেমেছে মানুষের ঢল। সল্টলেকের বিভিন্ন পুজো দেখতেও মধ্যরাত পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল। সল্টলেক বিজে ব্লকের পুজো এবার প্রচুর মানুষের ভিড় টানছে। সপ্তমীর রাতে সেই ভিড় সামাল দিতে গিয়ে কার্যত নাকানি চোবানি খেতে হল পুলিশকে। শেষে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য সল্টলেকের বিজে ব্লকের মণ্ডপের লেজার শো বন্ধ করে দেওয়া হয়। লেজার শোয়ের সঙ্গে যে সাউন্ডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল, সেটিই বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয় সাময়িকভাবে। দর্শনার্থীরা এত বেশি পরিমাণে ভিড় জমিয়েছেন সেখানে, যে তা সামাল দিতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হল পুলিশকে।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে দর্শনার্থীদের সঙ্গে প্রায় বচসা বেধে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়। পুজো কমিটির তরফে মাইকিং করে দর্শনার্থীদের উদ্দেশে বলা হতে থাকে, মণ্ডপ চত্বরে কোনও লেজার শো চলবে না। যাঁরা মণ্ডপ চত্বরে ছিলেন, তাঁদের ঠাকুর দেখা হয়ে গেলে অযথা ভিড় না বাড়িয়ে এক্সিট গেট দিয়ে মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হতে থাকে মাইকিং করে। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ভিড়ের চাপে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেই কারণেই কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে লেজার শো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুজো কমিটির পাশাপাশি মাইকিং করে দর্শনার্থীদের উদ্দেশে প্রচার করতে দেখা যায় পুলিশকেও।
উল্লেখ্য, সপ্তমীর রাতে উত্তর কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের প্রায় একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ভিড় সামাল দিতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খায় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লেবুতলা পার্কের পুজো মণ্ডপে ঢোকার বেশ কয়েকটি রাস্তা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ প্রশাসন।