কলকাতা: বামফ্রন্ট আমলে নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। সেই অভিযোগ স্বাভাবিক ভাবেই বিরক্ত বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। টিভি৯ বাংলার প্রতিনিধিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অভিযোগ নস্যাৎ করে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের শাসক তৃণমূলকে। যাঁরা বামফ্রন্ট আমলে চিরকুটে চাকরির প্রসঙ্গ তুলেছেন, তাঁদেরকে ‘আদালতে মামলা ঠোকার’ পরামর্শও শুনিয়েছেন বর্ষীয়ান এই বাম নেতা। পাশাপাশি তৃণমূলকে শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জও ছুড়েছেন। এই প্রসঙ্গেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তুলেছিলেন ২১ জুলাই প্রসঙ্গ। ২১ জুলাই দিনটি শহিদ দিবস হিসাবে পালন করে আসছে তৃণমূল। রাজ্যের ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই এই দিনটি পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালের ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৩ সালে ২১ জুলাইয়ের ঘটনা নিয়ে তদন্তের কথা শোনা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে। তা নিয়ে তদন্ত কমিশন হলেও কেন রিপোর্ট প্রকাশ করা হল না সেই প্রশ্ন তুলেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান।
১৯৯৩ সালে ২১ জুলাই পুলিশের গুলিতে কংগ্রেস কর্মীদের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। সেই মৃত্যুর জন্য তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় এলে সেই ঘটনার তদন্ত করার হুঁশিয়ারি অতীতে একাধিকবার দিয়েছেন মমতা। তাঁর সরকার গঠনের পর এ নিয়ে কমিশন গঠিত হয়েছিল। সেই কমিশন বামনেতাদের ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল। কিন্তু কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি।
এই প্রসঙ্গে বিমান বসু বলেছেন, “১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের ফায়ারিংয়ের ঘটনা। এ নিয়ে কমিশন তৈরি হয়েছে। কমিশন আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। আমি গিয়েছিলাম। আমাকে যা যা প্রশ্ন করা হয়েছিল উত্তর দিয়েছি। কিন্তু সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হল না কেন? কোন কারণে রিপোর্ট প্রকাশ করল না? রিপোর্ট প্রকাশিত না হওয়ার জন্য কে দায়ী? মানুষের সত্যি জানার অধিকার রয়েছে।”