
কলকাতা: জেলে ঢুকেছে গৌতম-শিবু। কিন্তু, এখনও অধারা শেখ শাহজাহান। ফুঁসছে সন্দেশখালি। চলছে প্রতিবাদ। উঠেছে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি। সন্দেশখালির আন্দোলনের জল গড়িয়েছে দিল্লিতেও। উত্তাল রাজধানীও। এরইমধ্যে তপ্ত সন্দেশখালিতে খবর করতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল টিভি-৯ বাংলার প্রতিনিধিদের। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছিল। বিজেপি তো নিন্দা করেছিলই, কড়া নিন্দা করতে দেখা গিয়েছিল শাসক তৃণমূলকেও। এবার সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ADG (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। স্পষ্ট বললেন, আইনি পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু কবে? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
দিনটা ছিল ৯ ফেব্রুয়ারি। তার কয়েকদিন থেকেই আগে শেখ শাহজাহান, তাঁর দুই শাগরেদ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে জনরোষ ক্রমেই বাড়ছিল এলাকায়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শিবু-উত্তমদের পোল্ট্রি, বাগানবাড়ি। তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এরইমধ্যে ৯ ফেব্রুয়ারি সকালের দিকে পাল্টা জেলিয়াখালির দখল নিতে নতুন করে ঝাঁপাতে দেখা যায় শিবু হাজরার লোকজনকে। সেই খবরই করতে গিয়েছিলেন আমাদের সাংবাদিক সৌরভ দত্ত, চিত্রসংবাদিক গৌরব পাল। কিন্তু, তাঁদের খবর করতে বাধা দেওয়া হয়। ভেঙে ফেলে দেওয়া হয় ক্যামেরা। গোটা ঘটনায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় শিবু ঘনিষ্ঠ সামাদ মোল্লা, নিশিকান্ত বরদের। যদিও এদিন ADG সাউথ বেঙ্গল সুপ্রতিম সরকার বললেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
ঘটনার পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছিল সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। তাঁর দাবি, তৃণমূলের বদনাম করার জন্য এসব করেছে। বলেছিলেন, সংবাদমাধ্যমের উপর আক্রমণ আমরা সমর্থন করি না। আমরা তীব্র ভাষায় এর নিন্দা করছি। সংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকা উচিত। কারণ তাঁরা গণতন্ত্রের একটা প্রধান স্তম্ভ। যাঁরা এ কাজ করেছে আমি আশা করব পুলিশ প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।” তাঁর সঙ্গে সেদিন সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর গলাতেও শোনা গিয়েছিল একই সুর।