
কলকাতা: বিহারে সরে গেল নিম্নচাপ। নিম্নচাপ ও মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাব কমছে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আর নেই। তবে উপকূলবর্তী এলাকা ও কিছু কিছু জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমলেও বাড়বে ভ্যাপসা গরমের দাপট চলবেই। কারণ বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ উপরের দিকেই রয়েছে। আপেক্ষিক আর্দ্রতা ঘোরাফেরা করছে ৯১ থেকে ৯৮ শতাংশের মধ্যে।
কেমন আছে কলকাতা?
হাওয়া অফিস বলছে এদিন দিনভর মেঘলাই থাকবে কলকাতার আকাশ। মাঝে মাঝে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি কয়েক পসলা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচেই রয়েছে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৩ ডিগ্রি। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৪২.৩ মিলিমিটার।
তবে দুর্যোগ কমলেও দুর্ভোগ থেকে রেহাই নেই। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের গভীর নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে ঝাড়খণ্ডে অবস্থান করছে। স্পষ্ট নিম্নচাপের রূপ নিয়ে উত্তর ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন দক্ষিণ বিহার এলাকার উপর ঘোরাঘুরি করছে। আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরও পশ্চিম এবং উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে পূর্ব উত্তর প্রদেশ এলাকায় ঢুকে পড়বে। আর সে কারণেই চাপ বাড়ছে বাংলার উপর।
আরও জল ছাড়ছে ডিভিসি
ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টির জেরে আরও জল ছাড়ছে ডিভিসি। জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে ৫৫ হাজার কিউসেক করে ফেলেছে। কমলা সতর্কতা জারি ডিভিসির। দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরীর দু’পাশ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। অন্যদিকে খানাকুল, আরামবাগ, ঘাটালের অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ফুঁসছে রূপনারায়ন, শিলাবতী। রূপনারায়ণ ও মুণ্ডেশ্বরীর সংযোগস্থলে এবার দুইটি নদী উপচে পানশিউলি বাজার প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫০টির ও বেশি গ্রাম জলমগ্ন। এদিনই আবার ঘাটালে যাচ্ছেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
এদিকে আবার হাওয়া অফিস বলছে দক্ষিণে বৃষ্টি কমলেও উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। শনিবার থেকে সোমবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, এই পাঁচ জেলার বেশিরভাগ জায়গাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।