Madhyamik 2024: এই ২ ছাত্রই হোয়াটস অ্যাপে ছাড়ে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র, প্রেস মিট করে পরিচয় সামনে আনল পর্ষদ
Madhyamik 2024: পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, লখিমপুর ও ইংরেজবাজার দুই জায়গা থেকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বেরিয়েছিল। এক জন ন'ঘরিয়া হাইস্কুলের ছাত্র। আরেকজন চামাগ্রাম হাইস্কুলের ছাত্র। এই দুই ছাত্র প্রশ্নপত্রের ছবি তুলেছিল।
কলকাতা: এবারের মাধ্যমিকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দুর্নীতির মরসুমে আটঘাঁট বেঁধে ময়দানে নেমেছিল পর্ষদ। সেন্টার থেকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আসার মাধ্যম-সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল সর্বক্ষেত্রেই। তারপরও রোখা যায়নি প্রশ্নপত্র ফাঁস। এতকিছুর পরও মাধ্যমিকের প্রথম দিনে বেরিয়ে গেল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ভাইরাল হয়েছিল প্রশ্নপ্রত্র। পরে মিলিয়ে দেখা যায়, আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিল রয়েছে সেই ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের! পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। পরীক্ষা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন পর্ষদ সভাপতি। তিনি সামনে আনলেন কোথা থেকে কোন ছাত্ররা এই প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিল?
পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, লখিমপুর ও ইংরেজবাজার দুই জায়গা থেকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বেরিয়েছিল। এক জন ন’ঘরিয়া হাইস্কুলের ছাত্র। আরেকজন চামাগ্রাম হাইস্কুলের ছাত্র। এই দুই ছাত্র প্রশ্নপত্রের ছবি তুলেছিল। এক জনের সিট পড়েছিল ইংরেজবাজার ৩ এর রায়গ্রাম হাই স্কুল। আরেকজনের লখিমপুর ৬-এর বেদরাবাদ হাইস্কুলে সিট পড়েছিল।
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বেরিয়ে পড়ার ২৫ মিনিটের মধ্যেই দুই ছাত্রকে ট্র্যাক করা গিয়েছিল বলে পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন। এই বছর ওই দুই ছাত্রী আর পরীক্ষা দিতে পারবে না। সঙ্গে পর্ষদ সভাপতি এও বলেন, “পরীক্ষা বাতিল করে আমরা আনন্দ পাই না। তবে এটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা।”
পর্ষদ সভাপতি এও বললেন, “দয়া করে আর এমন কেউ করবেন না। শিক্ষকরা প্রফেসনাল নিরাপত্তার দায়িত্বে নন। তাদের হয়ে সাফাই গাইছি না। ১৬ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের বডি সার্চ ওইভাবে করা সম্ভব নয়। আমি শিক্ষকদের আরও কড়া নজরদারির আবেদন করব।” তা সত্ত্বেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, এত নিরাপত্তার পরও কীভাবে পরীক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল ফোন থেকে গেল।