Madrasa Recruitment Scam: সই জাল, নেই সঠিক নিয়োগপত্র! মাদ্রাসার ‘ভূতুড়ে’ নিয়োগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Madrasa Recruitment Scam: মূলত ২০১৫-১৬ সালেই এই সব নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অযোগ্যদের চাকরি হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
কলকাতা : নিয়োগ নিয়ে ফের রাজ্যে উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সই জাল, কোনও বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়নি, তারপরও হয়েছে কীভাবে হল নিয়োগ? স্কুল সার্ভিস কমিশনের পর এবার ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ উঠল মাদ্রাসায়। প্রায় ৭০০-র বেশি শিক্ষক পদে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, আভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। পরবর্তীতে এই রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়বে বলে জানা যাচ্ছে।
মাদ্রাসা কমিশন নিয়ে মামলা হয়েছিল প্রায় ১০ বছর আগে। সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্ট পেরিয়ে গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদালত নিযুক্ত তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি এই অভিযোগের তদন্ত করছে। সেই তদন্তেও এই তথ্য সামনে এসেছে বলে সূত্রের খবর। অভিযোগ, মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ ও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের অনুমোদন ছাড়াই হয়েছে নিয়োগ। ওই শতাধিক শিক্ষকের কাছে কোনও উপযুক্ত নিয়োগপত্র নেই বলেও অভিযোগ। এই নিয়োগকে কার্যত ‘ভূতুড়ে’ নিয়োগ বলে অভিযোগ করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের একাংশ।
মূলত ২০১৫-১৬ সালেই এই সব নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অযোগ্যদের চাকরি হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। আভ্যন্তরীণ তদন্তে এই তথ্য সামনে এসেছে।
২০০৯ সালে তৈরি হয়েছিল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আর ২০১০ সালে তৈরি হয় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন অ্যাক্ট। সেই কমিশনের নিয়োগের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিচালন কমিটির এক সদস্য। তাঁর বক্তব্য ছিল, কমিশন নয়, নিয়োগের ক্ষমতা থাকা উচিত ম্যানেজিং কমিটির হাতে। সেই মামলায় হাইকোর্টের রায় ছিল, নিয়োগ করবে ম্যানেজিং কমিটি। কিন্তু কোনও সমস্যা হলে চাকরি থেকে সরানোর ক্ষমতা থাকবে কমিশনের হাতে। পরে সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে যায়। এদিকে, পরবর্তীতে মাদ্রাস শিক্ষা দফতরে চিঠি পাঠান কয়েকজন শিক্ষক। বেতন পাচ্ছেন না জানিয়ে চিঠি পাঠান তাঁরা। সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে ভুয়ো নিয়োগের বিষয়টি সামনে আসে। পরে সেই সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত করে।