State Education Policy: জাতীয় শিক্ষানীতিতে আংশিক ‘না’, আজ থেকে বলবৎ বাংলার নতুন শিক্ষানীতি
State Education Policy: গ্যাজেট নোটিফিকেশন করে আজ থেকেই রাজ্য শিক্ষানীতি বলবৎ শুরু করে দিচ্ছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই জানিয়েছিলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে 'বেস্ট প্র্যাকটিসেস' বেছে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই রাজ্য শিক্ষানীতি।
কলকাতা: জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পূর্ণ মানল না বাংলা। নিজেদের শিক্ষানীতিতেই অনড় রাজ্য সরকার। ১৬৩ পাতার রাজ্য শিক্ষানীতি বলবৎ হবে এ রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে। গ্যাজেট নোটিফিকেশন করে আজ থেকেই রাজ্য শিক্ষানীতি বলবৎ শুরু করে দিচ্ছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই জানিয়েছিলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে ‘বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ বেছে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই রাজ্য শিক্ষানীতি।
কী কী বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে?
এক বছরের প্রি-প্রাইমারি ক্লাস এবং চার বছরের প্রাথমিকের ক্লাসের কথা বলা হয়েছে। এরপর পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি এবং নবম-দশম শ্রেণি শেষে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তারপর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শেষে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে সেমেস্টার পদ্ধতি এবং এমসিকিউ ধাঁচে। প্রত্যেক পড়ুয়ার তিন বছর বয়স থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক রেকর্ড জমা থাকবে ক্লাউডে।
একেবারে শুরুর পড়াশোনার জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একাধিক দফতর মিলিয়ে তৈরি হবে একটি সমন্বয় কমিটি। এর পাশাপাশি প্রত্যেক স্কুলে এবার থেকে ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’-ও আয়োজন করা হবে। পড়ুয়া ও শিক্ষকের অনুপাতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার দিকেও নজর দেওয়া হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষকদের গ্রামে বদলি করা হবে। পড়ুয়াদের জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে।
উচ্চমাধ্যমিক শেষে স্কুলের গন্ডি পেরনোর পরই শুরু কলেজ জীবন। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সুবিধার্ধে স্কুলগুলির সঙ্গে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সমন্বয় তৈরির কথাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনীদের কাছ থেকে অনুদানের নীতি নির্ধারণ করার দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে।
একই ক্যাম্পাসে যাতে নার্সিং ও প্যারামেডিক্যাল কোর্স করানো যায় এবং এর পাশাপাশি আইনের পাঠের জন্য বিশেষ কোর্স চালু করার কথাও বলা হয়েছে সেখানে। এছাড়া ভিন রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে রাজ্যে আসে, সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নীতি নির্ধারণের কথাও বলা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মাতৃভাষা ও আঞ্চলিক ভাষাকে। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব মাধ্যমের পড়ুয়াদের জন্য বাংলা বিষয় পড়ার সুযোগের কথাও বলা হয়েছে।