কলকাতা: মুর্শিদাবাদ জেলার নেতাদের নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে উঠে এল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইস্যুও। সূত্রের খবর, রুদ্ধদ্বার দলীয় বৈঠকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, হুঁশিয়ারির সুরে বলে দেওয়া হয়েছে, ‘কে ফেসবুকে কী বলছেন, সব নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ছেঁটে ফেলা হবে।’ বৈঠক সূত্রে খবর, এদিন মুর্শিদাবাদ জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকেও বেশ ধমক দিয়েছেন অভিষেক ও সুব্রত বক্সি। হুমায়ুন যে এলাকাগুলি নিয়ন্ত্রণ করেন, সেখানকার ব্লক স্তরের নেতাদের কার্যকলাপের কথাও এদিন উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।
বৈঠক চলাকালীন অভিষেকের কাছে হুমায়ুন সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাতে পরিস্থিতি আরও গরম হয় বলে জানা যাচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আসরে নামতে হয় বলে বৈঠক সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি যে পর্যায়ে পৌঁছায়, তাতে রেগে যান মমতাও। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শুক্রবার কলকাতায় এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বের তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে হুমায়ুন কবীরকে। এমনকী এও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে দলের দুই প্রথম সারির নেতা সুব্রত বক্সি ও ফিরহাদ হাকিম যৌথভাবে মুর্শিদাবাদের সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখভাল করবেন।
উল্লেখ্য, এদিন মুর্শিদাবাদের জেলার নেতাদের নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের এই বৈঠক বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, এখানে রয়েছে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র। যা বর্তমানে রয়েছে কংগ্রেসের হাতে। এখানকার সাংসদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেদিক থেকে বহরমপুর নিয়ে কী চিন্তাভাবনা রয়েছে তৃণমূলের, সেই দিকেও নজর ছিল সকলের। আর বৈঠক শেষে বেরিয়ে, হুমায়ুন জানিয়েই দিলেন, অধীর ‘বিজেপির দালাল’, আসন ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না।