
কলকাতা: গত কয়েকদিনে পরিষেবা পেতে হয়রান হয়েছেন ইন্ডিগো-র যাত্রীরা। পরপর বিমান বাতিল হয়েছে। একলাফে কয়েকগুণ বেড়েছে বিমানের ভাড়া। সেই পরিস্থিতি নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকারে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কোনও পরিকল্পনা না থাকাতেই এই অবস্থা বলে দাবি করেছেন তিনি।
সোমবার কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কিছু করুন, অন্তত অর্ধেক বিমান যেন উড়তে পারে। একটা প্ল্যানিং করুন। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোনও পরিকল্পনা ছাড়া বিমান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিমান ভাড়া অনেক বেড়ে গিয়েছে। এমনকী বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আমি এরকম কখনও দেখিনি। এটা ডিজাস্টার। সরকারের কিছু একটা প্ল্যান করা উচিত ছিল। লক্ষ লক্ষ যাত্রী বসে আছেন বিমানবন্দরে। কীভাবে মানুষকে হেনস্থা করলেন আপনারা।”
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি আরও বলেন, “জানি না সরকার কী করছে। দেশের বিষয়ে কোনও উৎসাহ নেই। শুধু ভোট কীভাবে ক্যাপচার হবে, সেদিকে নজর রয়েছে। এভাবে দেশ চলে না। বিদেশ যাওয়ার সময় আছে, দেশের সমস্যা দেখার সময় নেই।” মমতার দাবি, বিমান বাতিল হওয়ার কারণে যে সব যাত্রীর ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। যাত্রীদের আদালতে যাওয়া উচিৎ।
এদিকে, শয়ে শয়ে বিমান বাতিল করার পরই ইন্ডিগো-কে ডিজিসিএ নির্দেশ দিয়েছিল যাত্রীদের টিকিটের দাম রিফান্ড করতে হবে। এয়ারলাইন্সের তরফেও জানানো হয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিমানের টিকিট বাতিল বা রিশিডিউলের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হবে। এক টাকাও অতিরিক্ত নেওয়া হবে না। যাদের বিমান বাতিল হয়েছিল, তাদের টিকিটের দাম রিফান্ড করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৬১০ কোটি টাকা রিফান্ড করেছে ইন্ডিগো।