‘এখনও তো শুরুই হয়নি’, ল্যান্ডফলের পরই সতর্ক করলেন মমতা

May 26, 2021 | 10:54 AM

রাতভর নবান্নেই ছিলেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৭-৮ ঘণ্টা পুরো পরিস্থিতির ওপর বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।

এখনও তো শুরুই হয়নি, ল্যান্ডফলের পরই সতর্ক করলেন মমতা
ছবি-ফেসবুক

Follow Us

কলকাতা: অনেকেই ভাবছে থেমে গিয়েছে। কিন্তু এখনও শুরুই হয়নি। ইয়াসের ল্যান্ডফলের পরই সাধারণ মানুষকে এই ভাষায় সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাতভর নবান্নে থেকে গোটা পরিস্থিতিতে নজর রাখছেন মমতা। একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ দিন সকাল ৯ টার আশেপাশে ল্যান্ডফল হয়েছে ওড়িশার বালেশ্বরে। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে সমুদ্রের জল ঢুকে আসার ঘটনা ঘটেছে। তবে রাতে ভরা কোটালের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আশঙ্কা এখনও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভাবছে সব থেমে গিয়েছে। কিন্তু এখনও তো শুরু হয়নি। আগামী ৭-৮ ঘণ্টা পরিস্থিতি নজরে রাখতে।’ সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘সম্পদ গেলে ফিরে আসবে, প্রাণ গেলে আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তাই আজকের দিনটা একটু কষ্ট করুন।’

এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর না এলেও বেশ কিছু জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ ভাবে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। মমতা জানিয়েছেন, গোসাবা, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথর প্রতিমা-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকে পড়েছে। রাজ্যে ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। নন্দীগ্রাম থেকেও ফোন এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এ কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘সোনাচূড়া, কেন্দ্রপাড়া এলাকা জলে ভেসে গিয়েছে।’ পূর্ব মেদিনীপুরের ৮ লক্ষ লোক-সহ রাজ্যে মোট সাড়ে ১১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।

আরও পড়ুন: বাংলার বিপদ বাড়িয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই ল্যান্ডফল করল ‘ইয়াস’! পূর্বাভাস বদলে কীসের আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের?

আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, বেলা ১২টায় ল্যান্ডফল হতে পারে ইয়াসের। সময় এগিয়ে এলে বিপদ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। কারণ আজ পূর্ণিমাতে রয়েছে ভরা কোটালও। ফলে জলোচ্ছ্বাস আরও তীব্র আকার নেবে। সেই আশঙ্কা সত্যি করে আরও আগেই ল্যান্ডফল হয়েছে। তবে ল্যান্ডফলের পুরো প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।

Next Article