
কলকাতা: বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সোমবার আক্রান্ত হয়ে হয়েছে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। রীতিমতো রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে খগেন মুর্মুকে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গে গিয়ে সেই ঘটনা প্রসঙ্গেই প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবাই একসঙ্গে সঙ্কটের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা দরকার। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না, এমন কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, যা কাম্য নয়। কারও উপর কোনও আঘাত নয়। যে যার মতো আসবে কথা বলবে চলে যাবে। সবার অধিকার আছে। আসুন সবাই মানুষের পাশে এসে দাঁড়াই।” সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এও বলেন, “৩০-৪০টি গাড়ি নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় গেলে ক্ষোভ বাড়ে।”
তবে এই মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা মানতে নারাজ বিজেপি। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বক্তব্য, ভাল ভাল কথা বলে বিষয়টাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘হামলাকারীদের শাস্তি কী করে হবে! আগে থেকে জেনেও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিল না? এখন তৃণমূলকে আড়াল করার জন্যই মমতা এসব বলছেন।’ বিজেপি নেতার দাবি, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক।
এদিন নাগরকাটায় পরিদর্শনে যাওয়ার পর আচমকা হামলা হয় খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষের উপর। তাঁরা যে গাড়িতে ছিলেন, সেটিতে ইট-পাথর ছুড়ে কাচ ভেঙে ফেলা হয়, পিছন থেকে সাংসদের উপর হামলা হয় বলেও অভিযোগ। মুখ ফেটে রক্ত বেরতে শুরু করে খগেন মুর্মুর। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান শঙ্কর ঘোষ। তৃণমূল আশ্রিত দৃষ্কৃতীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপি নেতারা। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ ক্ষোভে এই হামলা চালিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদার, সবাই ওই ঘটনার নিন্দা করেছেন।