কলকাতা: একটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুধু তাই নয়, নজিরবিহীনভাবে একটি বিধানসভার জন্য কোর কমিটিও গঠন করেছেন তিনি। কুণাল ঘোষ, অতীন ঘোষ, পরেশ পাল, স্বপন সমাদ্দারকে নিয়ে সোমবারই মানিকতলার জন্য কোর কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এক দফা বৈঠকও হয়েছে। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবার কাউন্সিলর ও কোর কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আগামী ১০ জুলাই মানিকতলায় উপনির্বাচন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, একটি বিধানসভার উপভোট নিয়েও কেন এত তৎপরতা?
মানিকতলায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, এই কেন্দ্রে প্রার্থী বাছাই নিয়ে একটু টানাটানি চলছে। সাধন পাণ্ডের পরিবারের কাউকেই কি প্রার্থী করা হবে এবার? যদি হয়, সেক্ষেত্রে প্রয়াত বিধায়কের স্ত্রী নাকি মেয়ে, কে পাবেন সেই টিকিট তা নিয়েই বিস্তর চর্চা চলছে।
এমনও শোনা যাচ্ছে, সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডেকে প্রার্থী হিসাবে চাইছেন অনেকে, অনেকে আবার চাইছেন সাধন-কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডেকে। গতকালই ভোট ঘোষণার পর শ্রেয়া জানিয়েছেন, দল যাঁকে প্রার্থী করবে, তিনি তাঁর হয়েই প্রচারে থাকবেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, হিসাব কি অত সহজে মিলে যাবে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী সাধন পাণ্ডে। তাঁর স্ত্রী, পরিবারের সঙ্গেও তৃণমূল সুপ্রিমোর সুসম্পর্ক। অসুস্থ সাধন পাণ্ডেকেও মন্ত্রী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধন তাঁকে বলতেন, ছোট বোন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে তৃণমূল গড়ার পর সাধন পাণ্ডে বলেছিলেন, “কংগ্রেস আমার মা আর মমতা আমার বোন।”
এ হেন সাধন পাণ্ডের মানিকতলা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এখানে কোনওরকম অযাচিত বিড়ম্বনা দল চাইছে না বলেই খবর। বিশেষ করে লোকসভা ভোটের আবহে তৃণমূলের এমন ভাবনায় খুব একটা ভুল নেই। কলকাতা উত্তরের মধ্যে পড়ে এই মানিকতলা কেন্দ্র। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা উত্তরে প্রার্থী করার পর যেভাবে দলের অন্দরের কোন্দল মাঝপথে এসে দাঁড়িয়েছিল, মানিকতলা উপনির্বাচনে সেই বিড়ম্বনার কাঁটা চাইছে না শাসকদল।