কলকাতা: রাতের শহরে ফের আগুন। এবার অগ্নিকাণ্ডটি ঘটেছে মধ্য কলকাতার (Kolkata) রোডে। শনিবার রাতে এলিয়ট রোডের একটি গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন (Fire) লেগেছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। কিন্তু, আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশে ছড়াতে শুরু করায় দমকলের আরও ১২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশও। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। যদিও প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন দমকল আধিকারিক। তবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ নম্বর এলিয়ট রোডের ওই গোডাউনে পারফিউম, চিপস এবং চকোলেট মজুত ছিল। এদিন রাত ৯টা নাগাদ হঠাৎ করেই গোডাউনের ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই দমকলে খবর দেন। প্রথমে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। তবে গোডাউনের ভিতর প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক দফায় দমকলের আরও ১২টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। তারপর দমকলের ১৫টি ইঞ্জিনের প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
যদিও এলিয়ট রোডের গোডাউনটিতে কী থেকে আগুন লাগে তা স্পষ্ট নয়। তবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে দমকল বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান। গোডাউনে পারফিউমের মতো দাহ্য পদার্থ প্রচুর পরিমাণে মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক টাকার সামগ্রী নষ্ট হয়েছে। তবে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই ভোররাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে চাঁদনি চক মার্কেটে। প্রথমে একটি কাপড়ের দোকানে আগুন লাগে। তারপর দ্রুত সেই আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে গিয়েছে। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছিল বলে দমকল বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান।