MBBS Admission: রাজ্যে স্থগিত হয়ে গেল MBBS-র ভর্তি, সংকটের মুখে হাজার-হাজার পড়ুয়া

MBBS Admission: ডাক্তারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে ফল প্রকাশ হলেও, রাজ্যে শেষ মুহূর্তে এসে আটকে গেল কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া। অন্যদিকে, রাজ্য জয়েন্ট তার ফলপ্রকাশ কবে হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর এখন পড়েছে গিয়ে সময়ে ঘাড়ে।

MBBS Admission: রাজ্যে স্থগিত হয়ে গেল MBBS-র ভর্তি, সংকটের মুখে হাজার-হাজার পড়ুয়া
Image Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Aug 19, 2025 | 9:28 AM

কলকাতা: ওবিসি জট বাধ সাধল ডাক্তারিতেও। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ডেন্টাল-সহ এমবিবিএস-র ভর্তি প্রক্রিয়াতেও কাউন্সিলিং অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর, ওবিসি সংক্রান্ত মামলার জটিলতার কারণেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হয়েছে তাদের।

সপ্তাহ দেড়েক আগেই এমবিবিএস ও বিডিএস অর্থাৎ ডেন্টালের কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায় অর্থাৎ পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দাখিলের কাজ রবিবার রাতে মিটে গিয়েছিল। যার ভিত্তিতে বুধবার ফলপ্রকাশের কথা ছিল। রাজ্যে ৫ হাজারের অধিক যে আসন রয়েছে, তাতে চয়েজ ফিলিং বা পছন্দের ভিত্তিতে নাম দাখিলের হিসাবে ইতিমধ্যেই যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন ১১ হাজার পড়ুয়া।

কিন্তু পর মুহূর্তেই স্থগিত করে দেওয়া হল কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া। যার জেরে আপাতত এই ১১ হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ ঘিরে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ। কারণ, ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভর্তি থেকে বার্ষিক পরীক্ষা, সমস্তটাই গোটা দেশজুড়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা এন‌এমসি’র গাইডলাইন মেনে প্রায় একই সময়ে হয়ে থাকে। কিন্তু স্বাস্থ্য় ভবনের এই একটা সিদ্ধান্তের জন্য গোটা প্রক্রিয়া থেকে দেশের অন্যান্য রাজ্য়গুলির তুলনায় পিছিয়ে পড়বে বাংলার মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। এছাড়াও, একাংশের মেধাবী পড়ুয়া রাজ্যের বাইরে পাড়ি দিয়ে দেবে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

একদিকে জয়েন্ট। অন্যদিকে নিট। এই সমাজের অন্যতম দু’টি পেশার জন্য প্রয়োজনীয় পড়াশোনার প্রবেশিকা পরীক্ষার ফল ঘিরে হাজার জটিলতা। ডাক্তারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে ফল প্রকাশ হলেও, রাজ্যে শেষ মুহূর্তে এসে আটকে গেল কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া। অন্যদিকে, রাজ্য জয়েন্ট তার ফলপ্রকাশ কবে হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর এখন পড়েছে গিয়ে সময়ে ঘাড়ে। ওবিসি জটিলতার কারণেই পুরোটাই এখনও আঁধারে।

এদিন চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যে সমস্ত পড়ুয়ারা পাশ করে ভর্তি প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করেছেন, তারা এবার হতাশ হয়ে পড়বেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজকতার পরিবেশ তৈরি হবে। আর গোটা সেশন দেরিতে শেষ হলে পরর্বর্তী জীবনেও নানা সমস্যা হবে। বিশেষ করে ইন্টার্নশিপ ও চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হবে।” এই বিড়ম্বনা থেকে ফের দুর্নীতি তৈরি হতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ভর্তি বিলম্বিত হওয়ার কারণে বহু পড়ুয়াই এখানে ভর্তি হবে না। আসন ফাঁকা থাকবে। তখনই টাকা নিয়ে ব়্যাঙ্ক জাম্প করিয়ে পড়ুয়া ভর্তি করানো হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।”