
কলকাতা: ১৫ দিনের লড়াই শেষে বাড়ি ফেরার পথে মেদিনীপুর স্যালাইন কাণ্ডে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন প্রসূতি মিনারা বিবি। গত ১২ জানুয়ারি গ্রিন করিডর করে মেদিনীপুর থেকে তিন প্রসূতিকে এসএসকেএমে আনা হয়। অন্য দুই প্রসূতি নাসরিন খাতুন, মাম্পি সিংহ এখনও চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মিনারাকে যখন আনা হয় তখন তাঁর কিডনি কাজ করছিল না। দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৬০ শতাংশ। সংক্রমণের মাত্রা ছিল অস্বাভাবিক। ভেন্টিলেট করতে না হলেও উচ্চ মাত্রায় (প্রতি মিনিটে ১০ লিটার) অক্সিজেন দিতে হচ্ছিল।
সেই অবস্থা থেকে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পথে মিনারা বিবি। আরেক প্রসূতি মাম্পি সিংহকে ভেন্টিলেটর থেকে বার করানো সম্ভব হয়েছে। তিনি হাঁটাচলা করছেন। কথাও বলছেন। কিন্তু সর্বকনিষ্ঠ প্রসূতি মাত্র উনিশ বছরের নাসরিন খাতুন এখনও ভেন্টিলেশনে। মিনারার মতো বাকি দু’জনকে সুস্থ করে বাড়ি ফেরানোয় এখন লক্ষ্য এসএসকেএমের।
প্রসঙ্গত চলতি বছরের শুরুতেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন বিভ্রাটে মৃত্যু হয় এক প্রসূতির। আরও তিন জনের অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। গ্রিন করিডর করে তাঁদের মেদিনীপুর থেকে কলকাতার আনা হয়। আর এদিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে স্বাস্থ্যভবন। হাইকোর্টেও ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। যদিও রাজ্যের তরফ থেকে চিকিৎসায় গাফিলতির তত্ত্ব খাড়া করা হয়েছে। তাতে ১২ জন জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য। তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।