বীরভূম: ৭ দিনে বীরভূম (Birbhum) থেকে উদ্ধার কার্যত বোমা-গুলির ‘পাহাড়’। লাভপুর থেকে নানুন, বগটুই থেকে তারাপীঠ। লালমাটির দেশে ১৫ জায়গা থেকে বোমা-গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ (Police)। তা হলে কী পঞ্চায়েতের (Panchayat Election) আগে জেলায় বোমা-গুলি খোলামকুচি? ভোটের আগেই পুলিশের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েতের আগে বোমায় তপ্ত বীরভূম। এদিন ফের বোমা উদ্ধার বীরভূমের মুরারইয়ে। সূত্রের খবর, এদিন মুরারই থানার বাঁশলই নদীর পাড়ে একটি হলুদ রঙের প্লাস্টিকের ড্রামে ২০টির বেশি বোমা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মুরারই থানার পুলিশ। এখানই শেষ নয়। গত ২৭ মে লাভপুরের দরবারপুরে অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের পাশ থেকে ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। বগটুইয়ে উদ্ধার ৫ বালতি তাজা বোমা। নানুরে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র।গত ২৬ মে নলহাটির লস্করপুরে ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার। তারাপীঠের নুরুদ্দিপুর গ্রাম থেকেও বালতি ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। নলহাটির মধুপুরে পরিত্যক্ত বাড়িতে উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক।
২৫ মে লোকপুর থানার বারাবন জঙ্গলে ২২টি তাজা বোমা উদ্ধার। কাঁকরতলা থেকে উদ্ধার ১২টি তাজা বোমা। ২৩ মে কাঁকরতলা থেকে উদ্ধার ২০০ তাজা বোমা। নানুরে উদ্ধার ড্রাম ভর্তি বোমা। পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, লালভূমে বোমা-বন্দুকের আনাগোনা বাড়ছে। সামনেই তো পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এখনই এই অবস্থা হলে, ভোটের সময় কী হবে? তবে হিসাব এখানেই শেষ নয়। ২২ মে, দুবরাজপুরের ঘোড়াপাড়া গ্রামে তৃণমূল নেতা শেখ শফিকের বাড়িতে বড়সড় বিস্ফোরণ হয়। সিপিএমের অভিযোগ, বোমা তৈরি করতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
যদিও, বীরভূম তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পঞ্চায়েত ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতেই বোমা-বারুদের খোঁজ করছে পুলিশ। শাসক দল পুলিশি সক্রিয়তার দাবি করলেও, বীরভূমবাসীর অভিযোগ, উর্দিধারীদের মদতেই জেলায় বোমা-বারুদের কারবার চলছে। গরু পাচার মামলায় তিহাড়ে বন্দি রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল। তাও জেলায় অহরহ বোমা উদ্ধারের ঘটনায় সেই কেষ্ট মণ্ডলকে নিশানা করে, “তৃণমূলকে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বলেন, বোমার তো এটা কেন্দ্রভূমি। এখানের পরমাণু বিজ্ঞানী অনুব্রত মণ্ডল তো এখন তিহাড়ে বন্দি।” সব মিলিয়ে বারুদপুর-বীরভূমে বোমা-গুলি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রাজনীতির পারদ চড়ছে। আতঙ্ক বাড়ছে জেলাবাসীর।