
কলকাতা: জফরাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ। মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতার সল্টলেকে এসে পুলিশ হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে বিজেপি নেতারা। যদিও, পুলিশের দাবি, অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই তদন্তেই তাঁরা এসেছিলেন। এদিকে, পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে সল্টলেকেরও আশ্রয়স্থল ছেড়েছেন নিহতের পরিবার। বর্তমানে তাঁরা পৌঁছেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাসভবনে।
জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ আগে জফরাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবার এসে উপস্থিত হন সল্টলেকে। সেখানেই তাঁরা থাকছিলেন। এরপর রবিবার সকালে মুর্শিদাবাদ থেকে একদল পুলিশ আসেন সল্টলেকের সেই আশ্রয়স্থলে বলে দাবি। তারপর তাঁরা শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু নিহতের পরিবার তাতে রাজি হয়নি। অভিযোগ, এরপর পুলিশ জোর পূর্বক বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন শঙ্খুদেব পণ্ডা, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি, সজল ঘোষ সহ বিজেপির প্রতিনিধি দল। তাঁদের সঙ্গে প্রবল বচসা হয় পুলিশের। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে, নিহতের পরিবারেরই কোনও এক সদস্য থানায় ‘কিডন্যাপিং’-এর অভিযোগ করেছিলেন। সেই তদন্তে নেমেই সল্টলেকে এসেছিলেন তাঁরা।
যে বাড়িতে শরণার্থীরা থাকছিলেন, সেই বাড়ির মালিক বলেন, “মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুন হওয়া পরিবারের সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু আজ পুলিশের যে আচরণ দেখলাম, তাতে তারা তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীকেও হার মানাবে। দরজায় লাথি মেরে ভিতরে ঢুকেছে। ওদের কাছে কোনও কাগজ নেই।” বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “যে সময় খুন হয়েছিলেন সেই সময় পুলিশ আসেনি। আর এখন ১৫০ কিমি অতিক্রম করে ঠিক চলে এল? আমরা তো দেখব কোন অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”