
ঠাকুরপুকুর: মাধ্যমিকের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ঠাকুরপুকুরে। আত্মহত্যাই করেছে বলে মনে করছেন পরিবারের সদস্যরা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঠাকুরপুকুরের শিবাজি কলোনীতে মায়ের সঙ্গে থাকতো অঙ্কনা বিশ্বাস নামে ওই মাধ্যমিকের পড়ুয়া। মা চলে গিয়েছে করোনার সময়। তারপর থেকে মা মেয়েতে একসঙ্গেই থাকছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এদিন সকালে ওই ছাত্রীর মা অঞ্জলি বিশ্বাস বাজারে যাচ্ছিলেন। তখনই মায়ের কাছ থেকে অঙ্কনা মোবাইল চায়। কিন্তু কোনওমতেই তাকে মোবাইল দিতে চায়নি। উল্টে তাঁকে পড়তে বসতে বলে। এ কথা বলেই বাজারে চলে যায়। কিন্তু বাজার থেকে ফিরে চোখ কপালে উঠে যায় তাঁর। দেখা যায় ঘরের মধ্যেই সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস গালিয়ে ঝুলছে ওই ছাত্রী। মায়ের চিৎকার শুনেই ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ঠাকুরপুরুর থানার পুলিশ। তাঁরাই মেয়েটিকে উদ্ধার করে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। মোবাইল না দেওয়াতেই কী অভিমানে ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে? ভাবাচ্ছে প্রতিবেশীদের। শুধু মোবাইল না দেওয়ার জন্য মেয়েটি যে এত বড় কাণ্ড করে ফেলতে পারে তা ভাবতে পারছেন না কেউই। ভাবতে পারছেন না সন্তানহারা মা-ও। মেয়ের এই অকাল মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না তিনি। কেঁদে চলেছেন অঝোরে। অন্যদিকে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নেপথ্যে ঠিক কোন কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকার লোকজনের পাশাপাশি কথা বলা হচ্ছে অঞ্জলি বিশ্বাসের সঙ্গেও। এলাকার বাসিন্দা কার্তিক কুণ্ডু বলছেন, “এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, ওর মা শুধু বাজারে যাওয়ার আগে বলেছিল এখন মোবাইল ঘাঁটতে হয় না। মাস্টার আসবে পড়তে বস। তারপর ওর মা বাজারে গিয়েছিল। ফিরে এসে দেখে এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে।”