কলকাতা: তিনি কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট। কিন্তু ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের’ নবান্ন অভিযানে জরুরি ভিত্তিতে ডিউটি পড়েছিল তাঁরও। সেই ডিউটিতেই যোগ দিতে গিয়ে বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। বুধবার তাঁর চোখের অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেভাবে অপারেশন সাকসেসফুল হয়নি। বাঁ চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন দেবাশিস। হাসপাতালের বেডে বসেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করলেন দেবাশিস। আর বলতে গিয়ে গলাও ধরে এল তাঁর।
বছর ৩৭-এর সার্জেন্টের পরনে তখনও হাসপাতালের ওটি ড্রেস। তিনি বললেন, ”
আমরা রেড রোড ধরে স্ট্র্যান্ড রোডের দিকে যাচ্ছিলাম। ইডেন গার্ডেনের কাছে এক দল আন্দোলনকারী রাস্তার ধারে জমায়েত করেছিল। গাড়ি তখন ধীরেই যাচ্ছিল। অতর্কিতে হঠাৎ করেই ইট ছুড়তে থাকে। আমি সামনেই ছিলাম। আমাদের গাড়ির উইন্ড স্ক্রিন ফেটে যায়। প্রথম ইটটাই আমার চোখে এসে পড়ে। তারপর আরও অনেক ইট আসে। তারপর চালক গাড়ি ঘুরিয়ে চলে আসে।”
বলতে গিয়ে গলা কেঁপে ওঠে সার্জেন্টের। তিনি বলেন, “কোনওক্রমে প্রাণে রক্ষা পাই, কিন্তু আমার চোখটা…. প্রথমে আমাকে পিজিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয়। বাঁ চোখে দেখতে পাচ্ছি না। জানি না আর কোনওদিনও দেখতে পারব কিনা।” চিকিৎসকরা কী জানিয়েছেন, তা হয়তো এখনও তাঁর কাছে খুব স্পষ্ট নয়। মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা ও রাজ্যের সবিবালয়কে রক্ষা করতে গিয়ে যে চোখ দিতে হবে, তা হয়তো ভাবাই দুঃস্বপ্ন।
‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের’ নবান্ন অভিযানে পুলিশের ওপর একাধিক ক্ষেত্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইটবৃষ্টি হয়েছে। হাওড়াতে মাটিতে ফেলে পুলিশকে লাথি মারা হয়েছে। লাঠিপেটাও করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা ছিল ‘সংযত’!
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)