কলকাতা: বাম ছাত্র যুবদের বৃহস্পতিবারের নবান্ন অভিযান (Nabanna March)। সেই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার ডোরিনা ক্রসিং। ছাত্র যুবদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত হন আন্দোলনকারীদের একাংশ। জল কামানের জলের তোড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। পুলিশ-ছাত্রদের গোলমালের মাঝে পড়ে গুরুতর আহত হন এক সাধারণ পথচারীও। বাম ছাত্র যুবদের এই কর্মসূচি ঘিরে এই মুহূর্তে উত্তাল শহর কলকাতা।
ডোরিনা ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারীরা এগোতে গেলে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। লাঠিচার্জ করে। কাদানে গ্যাস, জল কামানে প্রতিহত করার চেষ্টা করে মিছিলকে। অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের তরফ থেকেও পাল্টা ইট ছোড়া হয়। এর জেরে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। জানা যাচ্ছে, দুই পুলিশ কর্মীকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছে। ডান হাত ফেটে গিয়েছে ডিসি এসএসডি রশিদমুনি খানের।
পুলিশের লাঠিচার্জে একাধিক আন্দোলনকারী গুরুতর জখম হন। কারও মাথা ফাটে, কেউ পায়ে গুরুতর চোট পান। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স না থাকার অভিযোগ ওঠে। কোনও মহিলা পুলিশ কর্মীও ছিল না বলে অভিযোগ। দেখা যায়, আহতদের ভ্যানে কিংবা মোটর বাইকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। জানা যাচ্ছে এসএসকেএম ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁদের। এর মধ্যে চারজনের আঘাত গুরুতর।
আন্দোলনকারীদের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের উপর হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করা হয়। মহিলা পুলিশ ছাড়াই মেয়েদের উপরও লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। জল কামানের জলের তোড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন একাধিক আন্দোলনকারী। একজন শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পুলিশ চুল ধরে টানে, বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। বারবার চিৎকার করা হলেও কোনওরকম অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়নি।
কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল ছিল শান্তিপূর্ণই। মিছিল এগোচ্ছিল নির্দিষ্ট পথেই। ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিছিল আসতেই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। ছাত্রদের তরফে পুলিশকে মিষ্টি, স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হলেও পাল্টা পুলিশ জল কামান ছুড়তে শুরু করে। এরপর একে একে টিয়ার গ্যাস, লাঠিচার্জ। মাথায় লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন।
মিছিল যখন ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে এগোচ্ছিল তখন বাম যুবদের মুখে শোনা গেল ‘খেলা হবে, খেলা হবে’ স্লোগান। যা এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে অন্যতম বির্তকিত অথচ ‘ ‘ট্রেন্ডিং’ স্লোগান। হঠাৎ বাম ছাত্রদের মুখে এমন স্লোগান কেন? মিছিলকারীদের দাবি, এটা আসলে সরকারকে লাল কার্ড দেখানোর খেলা। এ সরকারের পতন নিশ্চিত। সেই পতনের খেলা। এরপরই পায়ে ফুটবল নিয়ে এগিয়ে যেতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছেই দেখা যায় ‘গান্ধীগিরি’। পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্যানিটাইজার, মিষ্টি।
শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের দাবিতে এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বাম ছাত্র যুবদের ১০টি সংগঠন। সকাল থেকেই হাওড়া, শিয়ালদহে জমায়েত শুরু হয়। গোটা কলকাতাকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলে লালবাজারের পুলিশ। এরইমধ্যে ডিওয়াইএফআইয়ের কয়েকজন সদস্য নবান্নের মূল ফটকে সংগঠনের পতাকা লাগাতে গেলে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। আটক করা হয় পাঁচজনকে।
কলকাতা: বাম ছাত্র যুবদের বৃহস্পতিবারের নবান্ন অভিযান (Nabanna March)। সেই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার ডোরিনা ক্রসিং। ছাত্র যুবদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত হন আন্দোলনকারীদের একাংশ। জল কামানের জলের তোড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। পুলিশ-ছাত্রদের গোলমালের মাঝে পড়ে গুরুতর আহত হন এক সাধারণ পথচারীও। বাম ছাত্র যুবদের এই কর্মসূচি ঘিরে এই মুহূর্তে উত্তাল শহর কলকাতা।
ডোরিনা ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারীরা এগোতে গেলে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। লাঠিচার্জ করে। কাদানে গ্যাস, জল কামানে প্রতিহত করার চেষ্টা করে মিছিলকে। অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের তরফ থেকেও পাল্টা ইট ছোড়া হয়। এর জেরে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। জানা যাচ্ছে, দুই পুলিশ কর্মীকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছে। ডান হাত ফেটে গিয়েছে ডিসি এসএসডি রশিদমুনি খানের।
পুলিশের লাঠিচার্জে একাধিক আন্দোলনকারী গুরুতর জখম হন। কারও মাথা ফাটে, কেউ পায়ে গুরুতর চোট পান। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স না থাকার অভিযোগ ওঠে। কোনও মহিলা পুলিশ কর্মীও ছিল না বলে অভিযোগ। দেখা যায়, আহতদের ভ্যানে কিংবা মোটর বাইকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। জানা যাচ্ছে এসএসকেএম ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁদের। এর মধ্যে চারজনের আঘাত গুরুতর।
আন্দোলনকারীদের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের উপর হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করা হয়। মহিলা পুলিশ ছাড়াই মেয়েদের উপরও লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। জল কামানের জলের তোড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন একাধিক আন্দোলনকারী। একজন শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পুলিশ চুল ধরে টানে, বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। বারবার চিৎকার করা হলেও কোনওরকম অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়নি।
কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল ছিল শান্তিপূর্ণই। মিছিল এগোচ্ছিল নির্দিষ্ট পথেই। ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিছিল আসতেই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। ছাত্রদের তরফে পুলিশকে মিষ্টি, স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হলেও পাল্টা পুলিশ জল কামান ছুড়তে শুরু করে। এরপর একে একে টিয়ার গ্যাস, লাঠিচার্জ। মাথায় লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন।
মিছিল যখন ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে এগোচ্ছিল তখন বাম যুবদের মুখে শোনা গেল ‘খেলা হবে, খেলা হবে’ স্লোগান। যা এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে অন্যতম বির্তকিত অথচ ‘ ‘ট্রেন্ডিং’ স্লোগান। হঠাৎ বাম ছাত্রদের মুখে এমন স্লোগান কেন? মিছিলকারীদের দাবি, এটা আসলে সরকারকে লাল কার্ড দেখানোর খেলা। এ সরকারের পতন নিশ্চিত। সেই পতনের খেলা। এরপরই পায়ে ফুটবল নিয়ে এগিয়ে যেতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছেই দেখা যায় ‘গান্ধীগিরি’। পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্যানিটাইজার, মিষ্টি।
শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের দাবিতে এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বাম ছাত্র যুবদের ১০টি সংগঠন। সকাল থেকেই হাওড়া, শিয়ালদহে জমায়েত শুরু হয়। গোটা কলকাতাকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলে লালবাজারের পুলিশ। এরইমধ্যে ডিওয়াইএফআইয়ের কয়েকজন সদস্য নবান্নের মূল ফটকে সংগঠনের পতাকা লাগাতে গেলে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। আটক করা হয় পাঁচজনকে।