
কলকাতা: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় এবার আরও তিন বিজেপি বিধায়ককে তলব। তলব করল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা রায়, শালতোড়ার চন্দনা বাউরি ও নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে ডাকা হয়েছে মঙ্গলবার। এর আগে ৫ জন বিধায়ককে তলব করা হয়েছিল। এবার তালিকায় যুক্ত হলেন আরও তিনজন। এই তিনজনকে মঙ্গলবার ডাকা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় ডাকা হয়েছে।
মিহির গোস্বামীর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগেই চারের বদলে আটের কথা বলেছিলেন। সেই কথাই সত্য প্রমাণ করতে এসব ডাকাডাকি হচ্ছে। এসব হেনস্থা করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু না। মিহিরের কথায়, “আমার ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কোনও ফৌজদারি (ক্রিমিনাল কেস) অভিযোগ নেই। আর আমাকেই কি না গুন্ডা দমন শাখা ডাকছে।” সোমবার এই একই মামলায় ডাকা হয়েছে বাঁকুড়ার নীলাদ্রিশেখর দানা, শিলিগুড়ির শঙ্কর ঘোষ, পুরুলিয়ার সুদীপকুমার মুখোপাধ্যায়, মাদারিহাটের মনোজ টিজ্ঞা ও ফালাকাটার দীপক বর্মনকে।
বুধবারের ঘটনা। তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি চলছিল বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে। সেই সময় বিজেপি বিধায়করাও পাল্টা বিক্ষোভ দেখান বিধানসভায় গাড়ি বারান্দার সামনে। তৃণমূলের অভিযোগ, তারা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন, তখন বিজেপির বিধায়করা চিৎকার করছিলেন তারস্বরে। তৃণমূলের দাবি, জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করেছেন বিজেপি বিধায়করা।
তৃণমূলের পরিষদীয় দলের তরফে অধ্যক্ষের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। এরপরই বিধানসভার সচিব হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশকে অভিযোগ জানান। ১১ জনের নামে অভিযোগ জমা পড়ে। তার থেকে ৫ জনকে ডাকা হয় সোমবার। মঙ্গলবার হাজির হতে বলা হয়েছে তিনজনকে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সবার উপরে আমাদের দেশ। আমরা আজ আছি, কাল
থাকব না। দেশ থাকবে, দেশের সঙ্গীত থাকবে। ভারতের সংবিধান থাকবে। জাতীয় সঙ্গীত আমাদের কাছে মন্ত্র। তাকে অবমাননা করা যায় না।”