নিউটাউনে হোটেল ভাড়া করে গ্যাংস্টারদের পার্টি, দেদার উল্লাসে মেতেছিল ভুল্লার-যশপ্রীতরা

Jun 13, 2021 | 8:43 PM

Newtown Encounter: গত ১৮ মে লুধিয়ানার ব্যবসায়ী ভরত কুমার, জয়পাল সিং ভুল্লার ও যশপ্রীত সিং খাড়ার সড়কপথে কলকাতায় এসেছিল।

নিউটাউনে হোটেল ভাড়া করে গ্যাংস্টারদের পার্টি, দেদার উল্লাসে মেতেছিল ভুল্লার-যশপ্রীতরা
ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা: নিউটাউন শুটআউটকাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য। শহরের বুকে হোটেল ভাড়া নিয়ে পার্টি করেছিল গ্যাংস্টারের দল। অন্যান্য অতিথি অভ্যাগতদের সঙ্গে মিলেমিশে দেদার উল্লাসে ছিল ভুল্লার, যশপ্রীতরা। কারা ছিলেন সেখানে, জানতে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।

সূত্রের খবর, গত ১৮ মে লুধিয়ানার ব্যবসায়ী ভরত কুমার, জয়পাল সিং ভুল্লার ও যশপ্রীত সিং খাড়ার সড়কপথে কলকাতায় এসেছিল। ভরতের স্ত্রী ১৯ মে কলকাতায় এসে পৌঁছয়। ২০ মে ছিল ভরত ও তাঁর বাঙালি বউয়ের বিবাহবার্ষিকী। সেদিন রাজকীয় পার্টি দিয়েছিল ভরত। নিউটাউনের একটি হোটেল ভাড়া করেছিল তারা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ভুয়ো নাম নিয়ে সেই হোটেল বুক করা হয়েছিল। রাজীব কুমার নামে জনৈকের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল হোটেলটি। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ভরতের ডাকা সেই পার্টিতে ছিল জয়পাল সিং ভুল্লার, যশপ্রীত সিং-সহ অন্যান্যরা। সেদিনই অর্থাৎ ২০ মে-ই ভরতের স্ত্রী বিমানে পঞ্জাবে ফিরে যায়।

এরপর ২২ তারিখ নিউটাউনের আবাসনটির চুক্তিপত্রে সই করা হয়। অর্থাৎ মাঝের দু’দিন অন্যত্র ঠাঁই নিয়েছিল ভুল্লাররা। তদন্তকারীরা নিশ্চিত কলকাতাতেই ছিল ২০, ২১ তারিখও। সূত্রের খবর, কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছিল এই গ্যাংস্টারের দল। কলকাতায় কোথায় কোথায় গিয়েছিল তারা, তা জানতে ঘেঁটে দেখা হচ্ছে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন।

সুমিত কুমারের নাম নিয়ে কলকাতায় এসে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল ভরত কুমার। সেই ভরতকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পঞ্জাব পুলিশ। পুলিশের জালে এসেছে আসল সুমিত কুমারও। ভরত ও সুমিত কুমার বেশ কয়েক বছর ধরে একে অপরের পরিচিত। গাড়ির ‘স্পেশাল নম্বর’ দেওয়ার ব্যবসা ছিল ভরত কুমার ও সুমিত কুমারের। সম্ভবত ব্যবসার সূত্রেই আলাপ তাঁদের।

আরও পড়ুন: হন্তদন্ত হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে রাজীব, বলে গেলেন ‘আজ কোনও কথা নয়’

অর্থাৎ ভুল্লারদের কলকাতা কানেকশন খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে। জেরা করা হবে ভরত কুমার ও সুমিত কুমারকে। ভুল্লারের আরও সঙ্গী শহরে রয়েছে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। অন্যদিকে সোমবারই বিধাননগর পুলিশের একটি বিশেষ দল পঞ্জাবের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে। এ ঘটনার শিকড় বহু দূর। চলছে তারই খোঁজ।

Next Article