AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Durga Puja 2021: নবমী নিশি ফুরোলেই উমার কৈলাস-গমন, ঘাটে ঘাটে কড়া নজরদারিতেই দশমীর বিসর্জন

Durga Puja Immersion: গত বছরের মতোই এবারও সবরকম করোনা বিধি মেনেই বিসর্জন হবে শহরের ঘাটগুলিতে।

Durga Puja 2021: নবমী নিশি ফুরোলেই উমার কৈলাস-গমন, ঘাটে ঘাটে কড়া নজরদারিতেই দশমীর বিসর্জন
নবমী নিশি পোহালেই উমা ফিরবে কৈলাসে। ফাইল ছবি PTI
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2021 | 10:26 PM
Share

কলকাতা: নবমী নিশি পোহালেই উমা ফিরবে কৈলাসে। মন খারাপ আপামর বাঙালির। তবে মন খারাপ হলেও প্রতিমা বিসর্জন (Durga Dashami) তো দিতেই হবে। এমনটাই দস্তুর। তবে করোনা আবহে একটু অন্যরকম ভাবে এবারও বিসর্জন-পর্ব চলবে ঘাটে ঘাটে। শুক্রবার কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে কলকাতার গঙ্গার ঘাটগুলি।

একদিকে যেমন করোনাবিধি মেনে বিসর্জন হয় সেদিকে যেমন কলকাতা পুলিশের নজর রয়েছে। একইসঙ্গে বিসর্জন দিতে গিয়ে কোথাও যেন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকেও খেয়াল রেখে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে। শুক্রবার ১৫ অক্টোবর দুপুর তিনটে থেকে গঙ্গার প্রতিটি ঘাটে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

একই সঙ্গে ১৮টি লাইফ সেভিং বোট গঙ্গাবক্ষে টহলদারি চালাবে। সঙ্গে ২৪টি নৌকায় গঙ্গার ঘাটগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালাবে রিভার ট্রাফিক পুলিশ। শহরের ৩৪টি পুকুর ঘাটে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় থাকবে পুলিশ পিকেট। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা থেকে গঙ্গার ঘাটে যাওয়ার পথগুলি যেমন এই তালিকায় থাকছে, একই সঙ্গে থাকছে জনবহুল বিভিন্ন এলাকাও। কোথাও যেন কোনও ভাবে অতিরিক্ত জনসমাগম না হয় সেদিকে যেমন নজরদারি চলবে, একইসঙ্গে কোথাও যেন শৃঙ্খলায় বিন্দুমাত্র আঘাত না লাগে তাও নজরে রাখা হবে। বিসর্জনের পুলিশি ব্যবস্থাপনায় থাকবেন কলকাতা পুলিশের তিনজন জয়েন্ট সিপি।

ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (DMG)-এর বিশেষ উদ্ধারকারী দলও তৈরি থাকছে। একটি দলে স্কুবা ডাইভিং সেট-সহ পাঁচজন বিশেষ প্রশিক্ষিত ডিএমজি ডুবুরি থাকবেন। স্পিড বোটে টহল দেবে এই দল। অন্য একটি টিম থাকবে রিভার ট্রাফিক পুলিশের লঞ্চে।

গত বছরের মতোই এবারও সবরকম করোনা বিধি মেনেই বিসর্জন হবে শহরের ঘাটগুলিতে। নিমতলা ঘাট, জাজেস ঘাট, বাজা কদমতলা ঘাটেই শহরের সিংহভাগ প্রতিমা বিসর্জন হয়। গঙ্গাদূষণ রুখতে বার্জে ক্রেন রাখা হবে। প্রতিমা জলে ভাসানের পরই কাঠামো তুলে নেবে এই ক্রেন। একই সঙ্গে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশাবলী মেনে ফুল, মালা, বেলপাতা কিংবা কোনও উপাচারের সামগ্রী জলে ফেলা যাবে না। সেগুলি ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে গঙ্গার ঘাটে। সেখানেই এসমস্ত জিনিস ফেলতে হবে।

বাগবাজারের নিমতলা ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট, গোয়ালিয়র ঘাটে দু’টি করে মোট আটটি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ থাকবে। এরা বোটে টহল দেবে। গঙ্গায় স্পিড বোট ছাড়াও জেটস্কিতে চলবে নজরদারি। প্রত্যেক ঘাটে পুলিশের ডুবুরিও থাকবে।

পুজোর আগে নবান্ন থেকে যে গাইডলাইন জারি করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন শুরু হবে ১৫ অক্টোবর থেকে এবং ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।

আরও পড়ুন: Corona Update: পুজোর বাংলায় লাফিয়ে বাড়ছে পজিটিভিটি রেট, পর পর ৪ দিন গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী