কলকাতা: পেরিয়েছে ৮০০ দিন। তবুও বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের মেলেনি হকের চাকরি। দিনের পর দিন রাস্তায় কাটাচ্ছেন তাঁরা। না এসেছে কোনও নোটিশ। না পেয়েছেন আশ্বাস। অপেক্ষার আটশো দিন পার। বেকারত্বের জ্বালা, যন্ত্রণা,কান্না আর একরাশ দুঃখ বুকে নিয়ে ঠাঁয় রাস্তার ধারে বসে ওরা। কবে মিলবে চাকরি? মঙ্গলবার কালীঘাটের মা কালীর কাছে পুজো দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীরা। শুধু তাই নয় রক্ত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও লিখলেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, সিরিঞ্জে রক্ত নিয়ে সেই রক্ত দিয়ে চিঠি লিখবেন তাঁরা। শুধু তাই নয় আজ মুখে কালি মেখেও বিক্ষোভ করতে দেখা গেল তাঁদের। আন্দোলনরত এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “এটা আমাদের শেষ প্রতিবাদ। চিঠি লিখে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আর আমাদের কিছু অবশিষ্ট নেই। রক্ত দিয়ে আমাদের আবেদন আমাদের যেন দ্রুত নিয়োগ করেন।” আরও একজন চাকরি প্রার্থী বলেন, “আমরা চাইছি দ্রুত নিয়োগ হোক। আর কতদিন এখানে বসে থাকব আমরা? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে পৌঁছতে চাইছি।”
দফায় দফায় আন্দোলন হয়েছে। আন্দোলনের জায়গা বদলেছে। কখনও প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন, কখনও সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান আর এখন ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির নীচে অবস্থান। আন্দোলনের জায়গা বদল হলেও, ঝাঁঝ কমেনি এতটুকুও। বরং উত্তরোত্তর বেড়েছে। রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বটে সমস্যা সমাধানের, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। একাধিকবার এসএসসি চেয়ারম্যান, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে কোনও সুরাহা হয়নি। রাজ্যের শাসক দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও কার্যত নিস্ফলা। সরকার সুপারনিউমেরারি পদের মাধ্যমে এদের নিয়োগ দিতে গিয়ে হাইকোর্টে মুখ থুবড়ে পড়েছে রাজ্য। এখন এদের ভবিষ্যত সরকারের ও সুপ্রিম কোর্টের হাতে।