কলকাতা: অনশন,ধরনা, মিছিল আর এবার মহা মিছিল। মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ (DA)-র দাবিতে বিক্ষোভ চলছেই। এবার ৩০ মার্চ বকেয়া ডিএ ও স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে মিছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। এই দিন হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে মিছিল বের করবেন সরকারি কর্মচারিরা। একই দিনে গণ ছুটিরও ডাক দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার ২৯ ও ৩০ মার্চ কলকাতায় আম্বেদকরের মূর্তির সামনে ধরনায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে একদিকে যেমন তিনি ধরনায় বসবেন, ঠিক ওই দিনই রাজ্য সরকারি কর্মীরা বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে পা মেলাবেন। ফলে দিনটি যে ঘটনাবহুল হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। জানানো হয়,৩০ মার্চ হাওড়া-শিয়ালদহ থেকে বকেয়া ডিএ, স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে মিছিল করবেন সরকারি কর্মচারিরা। একই দিনে গণছুটির ডাকও দেওয়া হয়েছে। ওই দিন শহিদ মিনারের ধরনা মঞ্চ থেকে অনতিদূরে অবস্থিত বি আর অম্বেদকর মূর্তির নিচে ধরনা মঞ্চের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মহামিছিলের আগে ২৬ মার্চ বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি জানিয়ে গণ ই-মেল করবেন সরকারি কর্মচারিরা। ২৭ মার্চ বকেয়া ডিএ না পেলে প্রশাসন স্তব্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়ে গণ ই-মেল মুখ্যমন্ত্রীকেও। ১০-১১ এপ্রিল ধরনা হবে যন্তর-মন্তরে।
প্রসঙ্গত, ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারিদের একাংশ। কেন্দ্রের সমহারে ডিএ-র দাবিতে অনড় তাঁরা। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকারের তিন শতাংশ ডিএ ঘোষণা খুশি করতে পারেনি ডিএ আন্দোলনকারীদের। শহিদ মিনারে কয়েক সপ্তাহ ধরেই ধর্না দিচ্ছেন তাঁরা।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, “আমি অধিকার কাড়ার পক্ষে নই, অধিকার দেওয়ার পক্ষে। যেটা আইনি স্বীকৃত।” রাজ্য সরকারি কর্মচারfদের কেন্দ্রের হারে DA দেওয়া সম্ভব নয় বলেও সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাঁর কথায়, “কাজ করবেন রাজ্য সরকারে, আর কেন্দ্রের হারে টাকা দিতে হবে, সেটা চলতে পারে না। রাজ্য রাজ্যের পে কমিশন অনুযায়ী চলে। আমরা ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী টাকা দিয়েছি।”