Behala: বেহালায় এ কী কাণ্ড! খোঁজ মিলল বাংলাদেশির
Kolkata: সেখানে এক অপরিচিত ব্যক্তি সাইকেল নিয়ে ছাতা সারাচ্ছিলেন। সেই সময় স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে ছাতা সারাই নিয়ে তাঁর বচসা বাধে। এরপর এক ব্যক্তি ওই লোকটিকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কোথা থেকে এসেছেন। অভিযোগ, সেই সময়ই ওই দোকানদার জানান, "আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি।"

বেহালা: ছাতা সারাই নিয়ে বচসা দোকানদারের সঙ্গে। তখনই এক ক্রেতা জানতে চেয়েছিলেন, যিনি ছাতা সারাই করছেন তাঁর বাড়ি কোথায়? আর তখনই বেরিয়ে আসল ঘটনা। ঘটনাটি হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড় বাগান এলাকার।
সেখানে এক অপরিচিত ব্যক্তি সাইকেল নিয়ে ছাতা সারাচ্ছিলেন। সেই সময় স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে ছাতা সারাই নিয়ে তাঁর বচসা বাধে। এরপর এক ব্যক্তি ওই লোকটিকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কোথা থেকে এসেছেন। অভিযোগ, সেই সময়ই ওই দোকানদার জানান, “আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি।”
এই কথা শোনার পরই স্থানীয় মানুষজনের সন্দেহ হয়। এরপর তাঁকে আটকে রেখে লালবাজারের ১০০ ডায়ালে খবর দেওয়া হয়। তখনই হরিদেবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। বাংলাদেশিকে আটক করে। ধৃতের নাম দাউদ দারিয়া। তাঁর দাবি, সাত মাস আগে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বনগাঁ বর্ডার দিয়ে প্রবেশ করে ভারতে ঢুকেছিলেন পরিচয় পত্র ছাড়াই। সাত মাস ধরে তিনি এইভাবে ছাতা সারাইয়ের কাজ করছেন। ব্যক্তির বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া এলাকায়। তাঁর দাবি, ঠাকুরপুকুর পাঁচ মসজিদের কাছে তিনজনের সঙ্গে ৬০০ টাকার ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। তাঁর মধ্যে দু’জন বাংলাদেশি চলে গিয়েছেন, এখন এই ব্যক্তি একাই রয়েছে এখানে।
এলাকার মানুষজন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাঁদের বক্তব্য কীভাবে একজন বাংলাদেশি দীর্ঘ সাত মাস ধরে এখানে ঠাকুরপুকুরে ব্যবসা করে যাচ্ছেন?
