কলকাতা: আপাতভাবে নিরীহ প্রাণে বলেই পরিচিত হরিণ। কিন্তু সেই হরিণ যদি হঠাৎ ক্ষেপে যায়, তাহলে কী হতে পারে… তা কিছুদিন আগে টের পেয়েছেন প্রশান্ত বর্মণ। নিউটাউনের (New Town) ইকো পার্কের কাছে যে হরিণালয় (Deer Park) রয়েছে, সেই হরিণালয়ে কাজ করেন প্রশান্ত। মঙ্গলবার যখন তিনি ডিয়ার পার্কের হরিণকে খাবার খাওয়াতে গিয়েছিলেন, তখনই এক হরিণ মোক্ষম কামড় দেয় তাঁর তলপেটে। সে একেবারে রক্তে মাখামাখি কাণ্ড। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। প্রশান্ত বর্মণ নামে বছর বিয়াল্লিশের ওই হরিণালয় কর্মীর তলপেটে গুরুতর চোট লেগেছে। পরিস্থিতি এমন যে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত করাতে হয় ডিয়ার পার্কের ওই কর্মীর। আপাতত চিনার পার্কের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখন তাঁর অবস্থা, আগের থেকে কিছুটা ভাল।
নিউটাউনের এই হরিণালয়কে এখন আর শুধু ডিয়ার পার্ক বলা যায় না। কারণ, এখন এখানে হরিণ ছাড়াও অন্যান্য জীবজন্তুও রয়েছে। ২০১৬ সালে যে হরিণালয় চালু হয়েছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অনেক বদলও এসেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেই ডিয়ার পার্ক বদলে গিয়েছে মিনি-চিড়িয়াখানায়। আলিপুর চিড়িয়াখানার পাশাপাশি কলকাতা শহরে দ্বিতীয় একটি চিড়িয়াখানা তৈরির ভাবনা থেকেই এই হরিণালয়কে এই মিনি-জু় রূপ দেওয়া হয়। কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই মিনি চিড়িয়াখানাকে নবরূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আর সেখানেই কয়েকদিন আগে ঘটে গেল এই বিচ্ছিরি কাণ্ড।
জানা যাচ্ছে, প্রশান্ত বর্মণ নামে ওই ব্যক্তি ডিয়ার পার্কের স্থায়ী কর্মী। প্রতিদিনের মতো রুটিন মেনে এদিনও হরিণকে খাবার খাওয়াতে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই সময়েই ঘটে যায় এই গন্ডগোল। পেটে কামড় বসিয়ে দেয় একটি হরিণ। আর তাতে একেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের বন্দোবস্ত করা হয়। আপাতত ওই বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন তিনি।