কলকাতা: আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার (নন মেডিক্যাল) আখতার আলির কথা মনে আছে নিশ্চয়? আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সুন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। এবারও আরও একটি মেডিক্যাল কলেজ। সেখানেও লাগামছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। আর সেই অভিযোগ তোলা হয় তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে। আরজি কর মডেলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ তৃণমূলের চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে সরব হলেন শর্মিষ্ঠা মণ্ডল নামে এক মহিলা।
তাঁর অভিযোগ,আরজি করের মতো কলকাতা মেডিক্যালেরও চেয়ারম্যান ছিলেন এই সুদীপ্ত রায়। প্রভাব খাঁটিয়ে হাসপাতালের প্রতিটি কোনে দুর্নীতি চক্র গড়ে তুলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভিজিল্যান্স কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। টিভি ৯ বাংলার হাতে এল বিস্ফোরক সেই অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি।
বস্তুত, মঙ্গলবার তৃণমূল বিধায়ক তথা আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ডঃ সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। প্রায় পনেরো ঘণ্টারও বেশি সময় চলে তল্লাশি। এবার সেই সুদীপ্তর বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডি ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটিতে লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন এক অভিযোগকারী। তাঁর দাবি, আরজি করের মতো কলকাতা মেডিক্যালেরও রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন সুদীপ্ত রায়। তিনি নিজের প্রভাব খাঁটিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম সিঁথির মোড়ে অবস্থিত নিজের নার্সিংহোমে সরবরাহ করতেন। এমনকী, এক বিশেষ সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন অভিযোগকারী।
শর্মিষ্ঠার আরও দাবি, সেন্ট্রাল ল্যাব, কার্ডিওলিজর মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, নার্স নিয়োগেও প্রভাব খাটাতেন সুদীপ্ত। প্রশাসনিক কর্তা, আধিকারিকদের মদতে মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতি চক্রের বাড়ন্ত বলে অভিযোগ করেছেন অভিযোগকারীর
এ প্রসঙ্গে শর্মিষ্ঠা মণ্ডল বলেন, “অত্যন্ত প্রভাবশালী লোক চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়। তিনি একজন বিধায়ক। সরকারের নানা সরঞ্জাম নিজের নার্সিংহোমে নিয়ে যান। শুধু তাই নয়, উনি ভুয়ো ভাবে ভর্তি করিয়েছেন। চাকরি দিয়েছেন। সেই সব তথ্য প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। সেগুলো আমি ইডি সিবিআই ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটি ও নবান্নের কাছে তদন্তের দাবি রাখছি। তাতে যদি সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাতেও আমি রাজি আছি।”