
কলকাতা: সাত-সকালে গিরিশপার্ক থেকে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য়। এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য় এলাকায়। জানা যাচ্ছে, মেট্রোর তিন নম্বর গেটের পাশে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহ। মৃতের নাম সৌম্যদিত্য কুণ্ডু। বয়স একুশ। এই ঘটনার পরই উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। খুন নাকি আত্মহত্যা? নাকি এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ জড়িয়ে সবটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, যে বাড়ি থেকে সৌম্যদিত্যর দেহ উদ্ধার হয়েছে সেটি তাঁদের পৈত্রিক ভিটে। সেখানে মাঝে মধ্যেই যাতায়াত ছিল তাঁর। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ ঘর থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর অনেকটা সময় কাটলেও ঘরে ফেরেননি। তারপরই তাঁর খোঁজ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। এ দিন, মৃতের ঘর থেকে একটি ট্যাব উদ্ধার হয়েছে। যেখানে লেখা ছিল ‘LOST’। তবে এর নেপথ্যে কী কারণ তা স্পষ্ট নয়। এমনকী, মৃতের পরিবারও কিছু বুঝতে পারছে না। সৌম্যদিত্য কি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন? উঠছে সেই প্রশ্নও। পরিবার সূত্রে খবর, সৌম্যদিত্য দক্ষিণ আফ্রিকায় পাইলটের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। আজ যুবকের ময়নাতদন্ত হবে হাসপাতালে।
ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। গোপাল হাতে নিয়ে হাউহাউ করে কান্না মায়ের। মৃতের বাবা বলেন, “গতকাল বিকেলের পর থেকে ফোন ধরছিল না। ওর একজনই বন্ধু ছিল। তাকে ডাকলাম। সে এসেও খোঁজাখুঁজি করল। এরপর লোকেশন ট্রাক করে দেখি গিরিশপার্কেই রয়েছে। তারপর আমরা তালা ভেঙে দেখি এই অবস্থা। আমরা কোনও সমস্যার কথা বুঝতেই পারিনি।”