Indranil-Babul Clash: মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনেই দুই গায়ক-মন্ত্রীর প্রকাশ্যে বাদানুবাদ! অবাক নিরাপত্তারক্ষীরাও
Indranil-Babul Clash: একসময় রাজ্যের পর্যটন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন। পরে সেই দায়িত্ব পান বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা বাবুল সুপ্রিয়।

কলকাতা: বিধানসভার করিডরে দুই মন্ত্রীর ‘ঝগড়া’! সোমবার বাবুল সুপ্রিয় ও ইন্দ্রনীল সেন-এর যে কথোপকথন এদিন সাংবাদিকদের কানে এসেছে, তাকে বাদানুবাদই বলা চলে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের সামনে করিডরে হাঁটার সময় বেশ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুজনের মধ্যে। ‘তুমি কেন কাজ আটকে দিচ্ছ?’ কার্যত মেজাজ হারিয়ে এ কথা বলতে শোনা যায় বাবুলকে। উত্তরে অপেক্ষাকৃত শান্ত গলায় ইন্দ্রনীল সেন বারবার বলতে থাকেন, ‘যা বলার দিদিকে গিয়ে বল।’ দুজনেই গায়ক, দুজনেই মন্ত্রী, তৃণমূলের জনপ্রিয় দুই মুখও বলা চলে। তাঁদের মধ্যে এমন কথোপকথনে চমকে যান উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরাও।
এদিন মমতার ঘরে ছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠক অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। বৈঠক শেষে বেরনোর সময় দুই মন্ত্রীর এই কথোপকথন শোনা যায়। চারপাশে তখন সাংবাদিকদের উপস্থিতি। সে সব তোয়াক্কা না করেই চলে চাপান-উতোর।
ইন্দ্রনীলকে বাবুল বলেন, ‘তুমি কেন আমার দফতরে কাজ আটকাচ্ছ?’ উত্তরে ইন্দ্রনীলকে বলতে শোনা যায়, ‘তোর যা বলার তুই দিদিকে বল। সঙ্গে সঙ্গে বাবুলের পাল্টা জবাব, হ্যাঁ সে তো আমি বলছি। দরকার হলে আবার বলব। তুমি এভাবে আমার কাজ আটকাতে পার না।’ তাঁকে থামাতে ইন্দ্রনীল বলেন, ‘তুই এখানে এভাবে কথা বলিস না। আমি কেন তোর কাজ আটকাতে যাব? কিছু বলার থাকলে দিদিকে গিয়ে বল।’ বেশ বোঝা যায়, ইন্দ্রনীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন বাবুল আর ইন্দ্রনীল না মানতে নারাজ।
উল্লেখ্য, একসময় রাজ্যের পর্যটন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন। পরে সেই দায়িত্ব পান বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা বাবুল সুপ্রিয়। তবে বাবুল মন্ত্রী হলেও সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারপার্সন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইন্দ্রনীলকে। এই দুই মন্ত্রীর মধ্যে যে একটা চাপা দ্বন্দ্ব আছে, তেমন কানাঘুষো অনেকেই শুনেছেন। তাই বলে এভাবে বিধানসভা চত্বরে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ! এমন নজির বোধহয় খুব বেশি নেই।
উল্লেখ্য, এর আগে বৈঠকে সবার সামনে বাবুলকে ধমক দিতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। পর্যটন নিয়ে এক বিশেষ প্রস্তাব দিতেই মমতা থামিয়ে দিয়ে তাঁকে বলেছিলেন, ‘তুমি এমন করতে পার না।’ বাবুলকে মন দিয়ে কাজ করার বার্তাও আগে দিয়েছেন মমতা।





