SIR in Bengal: রাজারহাট-গোপালপুরে কত নাম বাদ যেতে পারে? ডিজিটাইজেশনের পর সামনে এল তথ্য
Rajarhat-Gopalpur assembly: এই বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল বলছে, ২০১১ সাল থেকে আসনটি তৃণমূলের দখলে। ২০১১ এবং ২০১৬ সালে এখানে জিতেছিলেন পূর্ণেন্দু বসু। আর ২০২১ সালে তৃণমূল এই আসনে প্রার্থী করেছিল সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সিকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭২৩টি। অদিতি মুন্সি পেয়েছিলেন ৮৭ হাজার ৬৫০ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য পেয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৫৪ ভোট।

কলকাতা: একসময় ছিল সিপিএমের গড়। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে আসনটি তৃণমূলের দখলে। বিধায়ক বদল হয়েছে। তবে আসন হাতছাড়া হয়নি ঘাসফুল শিবিরের। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে কলকাতার পার্শ্ববর্তী এই আসন নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। এই আবহে এসআইআর প্রক্রিয়ায় রাজারহাট-গোপালপুর আসনে কতজনের নাম বাদ পড়বে, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। তারই ইঙ্গিত পাওয়া গেল ডিজিটাইজেশনের পর। দেখা গেল ৪৭ হাজারের বেশি নাম বাদ পড়তে চলেছে।
এসআইআর প্রক্রিয়া ঘোষণার দিন রাজ্যের ভোটার তালিকা ফ্রিজ করা হয়। সেইসময় রাজারহাট-গোপালপুর আসনে মোট ভোটার ছিলেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৬৩ জন। সেখানে এসআইআর প্রক্রিয়ায় ডিজিটাইজেশন হয়েছে ২ লক্ষ ২৫ হাজার ১৫৯। অর্থাৎ এই আসনে ৮২.৫৫ শতাংশ ভোটারের নাম ডিজিটাইজেশন হয়েছে। ডিজিটাইজেশন হয়নি ৪৭ হাজার ৬০৪ জনের নাম। কমিশন সূত্রে খবর, এর মধ্যে মৃত ভোটার ১৭ হাজার ৬৪২ জন। ২০ হাজার ৯২৫ জন ভোটারের খোঁজ মেলেনি। অন্যত্র চলে গিয়েছেন ৮২০৯ জন ভোটার। অন্য বিধানসভা কেন্দ্রে নাম তুলেছেন ৬৪২ জন। অন্যান্য কারণবশত ১৮৬ জনের নাম ডিজিটাইজেশন হয়নি। সবমিলিয়ে ৪৭ হাজার ৬০৪ জনের নাম বিভিন্ন কারণবশত ডিজিটাইজেশন হয়নি। শতাংশের হিসেবে ১৭.৪৫ শতাংশ।
এই সংখ্যা সামনে আসার পরই নানা অঙ্ক কষা শুরু হয়েছে। এই বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল বলছে, ২০১১ সাল থেকে আসনটি তৃণমূলের দখলে। ২০১১ এবং ২০১৬ সালে এখানে জিতেছিলেন পূর্ণেন্দু বসু। আর ২০২১ সালে তৃণমূল এই আসনে প্রার্থী করেছিল সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সিকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭২৩টি। অদিতি মুন্সি পেয়েছিলেন ৮৭ হাজার ৬৫০ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য পেয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৫৪ ভোট। ২৫ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন অদিতি। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে এসআইআর প্রক্রিয়ায় নাম বাদ পড়ার পর নতুন করে অঙ্ক কষবে রাজনৈতিক দলগুলি। আর সেই অঙ্কে কারা বাজিমাত করে, সেটাই এখন দেখার।
