করোনা আক্রান্তের দেহ আগলে বসে প্যারালাইজড মা, তালা ভাঙল পুলিশ
দিন তিনেক আগে কোভিড পজিটিভ হন মা ও ছেলে। আর তাতে্ ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান।
কলকাতা: প্যারালাইজস মা, নড়াচড়ার ক্ষমতা নেই। করোনায় মৃত ছেলের দেহ আগলে বাড়িতেই বসে রইলেন তিনি। স্থানীয়দের সন্দেহে পুলিশ ডেকে খোলা হল দরজা। পুলিশ দরজা ভেঙে উদ্ধার করল মৃতদেহ। মা’কে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। ঠাকুরপুকুরের চন্দ্রপল্লীর ঘটনা।
বাড়িতে থাকতেন ৫৩ বছর বয়সী ছেলে কমল দে ও ৭৫ বছরের মা দুর্গারানি দেবী। তিন দিন আগে তাঁরা করোনা পজিটিভ হন বলে জানা গিয়েছে। নিয়ম মেনে এলাকা স্যানিটাইজও করা হয়। কিন্তু এরপর তাঁদের বাড়ির দরজা একটানা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। বুধবার সন্ধেয় তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে পড়ে আছে ছেলের মৃতদেহ। করোনা আক্রান্ত হয়েই ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। মা দুর্গারানিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: একদিনে কলকাতাতেই ৪৪ মৃত্যু করোনায়, ধীর গতিতে হলেও বাড়ছে সুস্থতার হার
দরজা জানালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিলেন তাঁরা। বাসিন্দাদের বক্তব্য ,কিছুদিন আগে ছেলে করোনা আক্রান্ত হন। গত সোমবার থেকে ওই বাড়িতে কাউকে বেরোতে বা ঢুকতে দেখা যায়নি, দরজাও খোলেনি কেউ। তারপরেই প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয় এবং তাঁরা ঠাকুরপুকুর থানায় খবর দেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় বেশ কয়েকদিন ধরেই কমল দে এবং তাঁর মা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার প্রায় ৭ ঘণ্টা পর পুরসভার লোকজন মা’কে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারও দু’ঘণ্টা পর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। ওই মহিলার আরও দুই ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন বলে জানা গিয়েছে।