
পার্কস্ট্রিট: পার্কস্ট্রিটের একটি ক্যাফেতে বিধ্বংসী আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা আকাশ। গলগল করে আগুনের ফুলকি বেরাচ্ছে ওই বিল্ডিংয়ের মাথা থেকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল, পার্কস্ট্রিট থানা ও শেক্সপিয়ার সরণি পুলিশ। আশপাশে যাতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেই চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা। এই মুহূর্তে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন রয়েছে ঘটনাস্থলে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনো জানা যায়নি।
জানা যাচ্ছে, পার্ক স্ট্রিট ও ক্যামাকস্ট্রিটের সংযোগস্থল অ্যালন পার্কের ঠিক উল্টো দিকে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে। এই এলাকাটি মূলত অফিস পাড়া হিসাবে পরিচিত। আশপাশে অনেক বহুতল রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন অফিস রয়েছে। আগুন লাগার খবর পৌঁছতেই আতঙ্কিত অফিস কর্মীরা রীতিমতো রাস্তায় চলে এসেছে। তবে যে বহুতলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে সেখানে কেউ আটকে নেই বলেই খবর।
পার্কস্ট্রিটে ভয়াবহ আগুন
যে ভবনটিতে আগুন ধরে গিয়েছে সেখানে টিন দিয়ে একটি ব্যারিকেড করা ছিল। প্লাস্টিকের এই টিন থাকার জন্য আগুন আরও দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর। তবে ভিতরের দিকে কী ধরনের সামগ্রী মজুত রয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর পাশাপাশি ভিতরে কোনও কর্মী আটকে রয়েছেন কি না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যেই অ্যালন পার্কের পাশ থেকে ক্যামাক স্ট্রিটের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচলের জন্য। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “একটা ঘটনা ঘটেছে। খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন সেখানে পাঠিয়েছি। সিনিয়র অফিসাররা রয়েছেন। আমি নিজেও যাচ্ছি। আমার মনে হয় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।”
এলাকায় উপস্থিত এক অফিস কর্মী বলেন, “আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আগুন লাগে। ক্রমাগত আগুন বেড়েই চলেছে। অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা খুব আতঙ্কিত। এই গরমের মধ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে বিদ্যুত।”
ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায় বলেন, “এখানে গুরুতর আঘাত কারোর নেই। দমকল খুব সুন্দর কাজ করেছে। ভিতরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার পুলিশের একজন এএসআই খুব সাহসিকতার সঙ্গে বের করে এনেছেন। যার ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়া রোখা সম্ভব হয়েছে।” দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “সবাইকে ধন্যবাদ দেব। খুব ভাল কাজ করেছেন সকলে। আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে।”