কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে ধরেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বান্ধবী অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে তাঁর একাধিক সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ইডির। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অপর অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সঙ্গেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগাযোগের তত্ত্ব উঠে আসছে। যদিও কুন্তলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ‘আমি অভিষেক বন্দোপাধ্যায় মতো নেতা তৈরি করি। কুন্তল ঘোষ তৈরি করি না।’ অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চাইছেন, তিনি অভিষেকের মত ভাল নেতা তৈরি করেন। কুন্তলের মত খারাপ কর্মী বা নেতা নয়।
জানা যাচ্ছে, ঘনিষ্ঠ মহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইডি কলকাতায় কাউকে পাচ্ছে না। সবাইকে চুঁচুড়া থেকে ধরে আনছে। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, ‘অয়ন বা কুন্তল কাউকেই চিনি না। চেনা তো দূরের কথা, এদের আমার ৩০০ মাইলের মধ্যে ঢোকারও ক্ষমতা নেই। ইডি প্রথমে বলল, কুন্তল আমাকে টাকা পাঠাত। এখন বলছে অয়ন কুন্তলের মাধ্যমে আমাকে পাঠাত। আগে ঠিক করুক কে টাকা পাঠাত। ডকুমেন্টারি এভিডেন্স দেখাক।’
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বার বার বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে তোলা হচ্ছে, তার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। আজও অবশ্য জামিন মেলেনি তাঁর। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পার্থ সহ ১৪ জনকে। আদালত থেকে বেরোনোর সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করেন তিনি। দল যে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে, সেই প্রসঙ্গে বললেন, ‘দল যা ভাল মনে করছে করুক। আমি দলকে প্রমাণ করে আমি কোনও অন্যায় করিনি।’
প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই দল তাঁর থেকে সাবধানী দূরত্ব বজায় রেখেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভা থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। গতকাল শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তবে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে যখন আদালতে পেশ করা হচ্ছিল, তখন বেশ কয়েকজন তাঁর সামনে ‘পার্থদা জিন্দাবাদ’ স্লোগানও তুলেছেন।