AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Partha Chatterjee: ‘সোনা গলাবার চেষ্টা হয়েছিল, খাঁটি সোনা তো আর গলে না’, বাড়ি ফিরেই বললেন পার্থ

Partha Chatterjee: কথায় কথায় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এই যে এতদিন এত অভিযোগ, বিতর্ক, তিনি তো রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র, কর্পোরেট হাউজে চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন,  তিনি এলাকার এতবারের বিধায়ক, গর্বিত ছিলেন, এখন কোথাও কি আজ তিনি কালিমালিপ্ত.... প্রশ্ন শেষ হয়নি। খুবই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পার্থ বললেন, "এখনও গর্বিত রয়েছি। সোনা গলাবার চেষ্টা করলেও, খাঁটি সোনা তো গলে না।"

Partha Chatterjee: 'সোনা গলাবার চেষ্টা হয়েছিল, খাঁটি সোনা তো আর গলে না', বাড়ি ফিরেই বললেন পার্থ
পার্থ চট্টোপাধ্যায় Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2025 | 1:33 PM
Share

কলকাতা: তিন বছর তিন মাস! কারা থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি! আবারও লাইমলাইটে তিনি! সংবাদমাধ্যম, লাইট, ক্যামেরা, ইন্টারভিউ! বাড়ি ফেরার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম সাক্ষাৎকার TV9 বাংলায়। বাড়িতে অবশ্য তখন পৌঁছেছেন বিএলও। তিনি SIR-এর ফর্ম দিতে এসেছিলেন পার্থবাবুকে! ফর্ম নিলেন, সই করলেন! কিন্তু দল যে তাঁর SIR বিরোধিতায় পথে নেমেছে! প্রশ্ন শেষের আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উত্তর, “নেত্রী কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, একজন বৈধ ভোটারের নাম যেন বাদ না যায়। আর তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কেন SIR, তাহলে লোকসভা নির্বাচনের আগেই হতে পারত! কিন্তু কোথাও তো তাঁরা বলেননি, ফর্ম দিতে এলে নেবেন না!” কথা শেষ করেই অবশ্য বললেন, ” আমি তিন বছর খবর দেখিনি, টিভি দেখিনি। এখন সবে ফিরে পেপার পড়ছি, খবর দেখছি। এখনও শারীরিক মানসিকভাবে সেই জায়গায় আসতে পারিনি। কর্মযজ্ঞে ফেরবার চেষ্টা করছি।”

সারা রাত ঘুমোতে পারেননি পার্থ। নিজেই সেকথা বললেন, চোখের পাতা এক হয়নি তাঁর। সারা রাত তাঁর পাশে ছিলেন ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী। তাঁদের সঙ্গেই গল্প করে রাত কেটেছে পার্থর।

কথায় কথায় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এই যে এতদিন এত অভিযোগ, বিতর্ক, তিনি তো রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র, কর্পোরেট হাউজে চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন,  তিনি এলাকার এতবারের বিধায়ক, গর্বিত ছিলেন, এখন কোথাও কি আজ তিনি কালিমালিপ্ত…. প্রশ্ন শেষ হয়নি। খুবই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পার্থ বললেন, “এখনও গর্বিত রয়েছি। সোনা গলাবার চেষ্টা করলেও, খাঁটি সোনা তো গলে না।”

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে প্রথম বার বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রতীকে দাঁড়িয়ে বিধায়ক হন পার্থ। ২০০৬ সালে দ্বিতীয় বারের জন্য বিধায়ক হন। তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকেই বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব দেন। তার পর ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষা, শিল্প, পরিষদীয় দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। পার্থ স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন,  তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি এলাকার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। এখনও তিনি জোর গলাতেই বললেন তিনি নির্দোষ। যেমনটা সেই সেদিন ইএসআই হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময়ে সাংবাদিকদের সামনে বলেছিলেন!