Pathankhali: প্রসূতিদের খোঁজ নিতেন, কার কবে সন্তান প্রসবের দিন, তারও হিসাব রাখতেন, ভুয়ো শংসাপত্রকাণ্ডে এবার নজরে এক হাতুড়ে চিকিৎসক

Pathankhali: কিছুদিন আগেই ভুয়ো শংসাপত্র কাণ্ডে জেলা পুলিশের জালে ধরা পড়ে পাঠানখালি পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী গৌতম সর্দার। তাঁকে জেরা করে পুলিশ রহমতুল্লার খবর পান। তাঁকেও ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

Pathankhali: প্রসূতিদের খোঁজ নিতেন, কার কবে সন্তান প্রসবের দিন, তারও হিসাব রাখতেন, ভুয়ো শংসাপত্রকাণ্ডে এবার নজরে এক হাতুড়ে চিকিৎসক
হাতুড়ে চিকিৎসক রহমতুল্লাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 25, 2025 | 3:54 PM

কলকাতা:  গোসাবার পাঠানখালিতে ভুয়ো শংসাপত্র  কেলেঙ্কারিকাণ্ডে নয়া মোড়। এবার কলকাতা পুলিশের নজরে এলাকার এক হাতুড়ে চিকিৎসক রহমতুল্লা মোল্লা। সোনাখালি রামচন্দ্রপুরে প্রসূতিদের খোঁজ নিতেন রহমতুল্লা মোল্লা।

কিছুদিন আগেই ভুয়ো শংসাপত্র কাণ্ডে জেলা পুলিশের জালে ধরা পড়ে পাঠানখালি পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী গৌতম সর্দার। তাঁকে জেরা করে পুলিশ রহমতুল্লার খবর পান। তাঁকেও ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে কেবল জেলা পুলিশ নয়, কলকাতা পুলিশের র‌্যাডারেও রয়েছেন রহমতুল্লার কার্যকলাপ। তিনি এলাকায় হাতুড়ে চিকিৎসক হিসাবে পরিচিত। এলাকায় একটি নার্সিংহোমও তিনি চালাতেন। পুলিশ জেরায় জানতে পেরেছে, এই নার্সিংহোমের সূত্রেই গৌতম সর্দারের সঙ্গে লেনদেন ছিল রহমতুল্লার।

স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন রহমতুল্লা। কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কবে কোন প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেবেন, তার ডিটেইলস থাকত তাঁর কাছে। পরবর্তীতে গৌতম সর্দার যখন ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করতেন, তখন তিনি রহমতুল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তাঁর নার্সিংহোমের নাম লেখা ছাপানো প্যাডে তথ্য উল্লেখ করে নার্সিংহোমের সার্টিফিকেট দিতেন। যা ব্যবহার করে পরবর্তীতে ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করা হত বলে অভিযোগ।

এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, জেলা পুলিশের নজরে আর কারা কারা রয়েছেন, সবই এবার খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ভুয়ো তথ্য় দিয়ে পাসপোর্ট তৈরির ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে আসে পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম। কেবল এই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই ৩৫০০ ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানতে পারে। তাতেই উঠে আসে পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী গৌতম সর্দারের নাম।