করোনা চিকিৎসার বিল ১৩ লক্ষ টাকা, মন্ত্রীর চিঠি দেখিয়েও মিলছে না ছাড়! রোগী আটকে রাখার অভিযোগ

আনন্দপুর থানায় (Anandapur PS) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রোগীর পরিবার। যদিও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট তারা।

করোনা চিকিৎসার বিল ১৩ লক্ষ টাকা, মন্ত্রীর চিঠি দেখিয়েও মিলছে না ছাড়! রোগী আটকে রাখার অভিযোগ
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 19, 2021 | 7:42 AM

কলকাতা: করোনামুক্ত (COVID-19) হলেও হাসপাতালের বিল না মেটাতে পারায় রোগী আটকে রাখার অভিযোগ উঠল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। কোভিড-১৯ জয় করলেও এখনও বাড়ি ফেরা হয়নি দমদমের বত্রিশ বছরের ওই তরুণীর। ইতিমধ্যেই বিস্তারিত জানিয়ে আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে রোগীর পরিবার।

দমদমের মানিকপুর ঠাকুরপাড়ার বাসিন্দা কুমকুম সিংহ। পরিবার সূত্রে খবর, গত মাসের ২৯ তারিখ শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন কুমকুম। আপাতত ভাল আছেন তিনি। আর হাসপাতালে থেকে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তবু হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। কারণ, গত কয়েকদিনের চিকিৎসার জন্য কুমকুমের পরিবারকে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার বিল ধরিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আর সেই টাকা পুরোপুরি না মেটাতে পারায় রোগীকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে রোগীর পরিবার। যদিও কুমকুমের পরিবারের দাবি, পুলিশকে জানালেও কোনও কাজ হয়নি।

আরও পড়ুন: কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জও বন্ধের পরিকল্পনা? কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অমিত মিত্রের চিঠিতে উঠে এল ইঙ্গিত

রোগীর পরিবারের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিলের বকেয়া ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা মেটাতেই হবে। তা না হলে রোগীকে ছাড়া হবে না। এমনকী মন্ত্রীর চিঠি দেখিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। কুমকুমের স্বামী অসীম সিংহ জানান , তাঁদের স্থানীয় বিধায়ক-রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর একটি চিঠি নিয়ে এলেও, সেটাকে কোনও গুরুত্ব দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রীর চিঠিতে কোনও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বিরুদ্ধে আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি।