Naushad Siddiqui arrest: পীরজাদাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যেও এমন হয় না: কাশেম সিদ্দিকী
Naushad Siddiqui arrest: গত শনিবার গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে। তাঁরই পরিবারের সদস্যরা এদিন লালবাজারে গিয়েছিলেন।
কলকাতা: কলকাতা অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারা। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে (Naushad Siddiqi) ছাড়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার কথাও বলেছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবারই পীরজাদারা পৌঁছে যান লালবাজারে। নওশাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেলেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বিধায়কের দাদা কাশেম সিদ্দিকী। তাঁর দাবি, একা কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি নওশাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই সরকার পীরজাদাদের গায়ে হাত দিয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যেও এভাবে অত্যাচার করা হয় না।’ এদিন নওশাদের তিনজন আত্মীয়কে লালবাজারে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, ১০-১৫ মিনিট কথা বলতে দেওয়া হয়েছিল।
এদিন দুপুরেই লালবাজারে পৌঁছে যান তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল জামা-কাপড়ের ব্যাগ। পীরজাদারা জানান, তাঁদের ভাই নওশাদের সঙ্গে একবার দেখা করতে চান তাঁরা। তাঁকে কিছু পোশাক দিতে চান। প্রথমে পুলিশ প্রবেশ করতে দিতে আপত্তি জানায়। পীরজাদারা সাফ জানান, ঢুকতে দেওয়া না হলে ফুরফুরা শরিফের ক্ষমতা দেখতে পাবে সরকার।
সাধারণত সেন্ট্রাল লক আপে কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না। এদিন পুলিশ কমিশনারের থেকে অনুমতি পাওয়ার পর ০১ টা ৩৬ মিনিটে ঢুকতে দেওয়া হয় তিন ভাইকে। দেখা করে ০২ টো ১৮ মিনিটে বেরিয়ে আসেন কাশেম সিদ্দিকী, সাউদ সিদ্দিকী ও নাজনুস সৈয়দ সিদ্দিকী। তাঁরা জানান, আধিকারিকদের সামনেই দেখা করে কথা বলতে দেওয়া হয়েছে। আলাদা করে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সিদ্দিকীদের দাবি, নওশাদ তাঁদের কাছে ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নামও নিয়েছেন। কাশেম বলেন, ‘ভাইয়ের কিছু বলার ছিল। বলতে পারেনি। অফিসাররা ঘিরে রেখেছিলেন। ভাই বলেছে, বাইরে গিয়ে বলব। যা বলার আদালতে বলব।’ প্রথম দ্বিতীয় দিন ওষুধ দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।
গত শনিবার গ্রেফতার হন আইএসএফ বিধায়ক। সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পীরজাদা পরিবারের অভিযোগ, বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে নওশাদকে। স্পিকারের অনুমতি ছাড়া বিধায়ককে কীভাবে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। পীরজাদারা জানান, তাঁরা কোনও দলের তরফে আসেননি, পরিবারের তরফে দেখা করতে আসেন তাঁরা।