Tiljala Case: নাবালিকার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন, রয়েছে আরও নৃশংসতা… তিলজলাকাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য

সিজার মণ্ডল | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 27, 2023 | 11:56 PM

Tiljala: ২০২০ সালে বিয়ে করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। বিহারে বাপের বাড়িতে তিনি।

Tiljala Case: নাবালিকার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন, রয়েছে আরও নৃশংসতা... তিলজলাকাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
শিশুকে খুন।

Follow Us

কলকাতা: তিলজলা (Tiljala PS) থানা এলাকায় নাবালিকাকে নৃশংস হত্যার ঘটনায় পুলিশের হাতে এল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বলছে, গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বছর সাতের ওই নাবালিকাকে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় আঘাত করা হয়েছে ভারী কিছু দিয়ে। এমনকি, নাবালিকার যৌনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খাস কলকাতার বুকে এই ঘটনা ঘিরে রবিবার সন্ধ্যা থেকে তোলপাড় চলছে। এই ঘটনায় ওই নাবালিকারই এক প্রতিবেশী অভিযুক্ত। তাঁর ঘর থেকে প্রচুর পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত নেশাগ্রস্ত থাকেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে তিলজলায় থাকেন ওই ব্যক্তি।

২০২০ সালে বিয়ে করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। বিহারে বাপের বাড়িতে তিনি। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছেন, ওই ব্যক্তির প্রথম সন্তান মায়ের গর্ভেই মারা যায়। আগে আরও দু’বার গর্ভপাত হয় মহিলার। যে আসছে, সে যাতে কোনও বাধা ছাড়াই পৃথিবীর আলো দেখতে পারে, তার জন্যই এই পড়শি কন্যাকে মারেন। এক তান্ত্রিকের পরামর্শে তিনি এ কাজ করেন বলেও পুলিশ সূত্রে তথ্য উঠে এসেছে।

একই ফ্ল্যাটের চার তলায় থাকে ওই মেয়েটির পরিবার। অভিযুক্তরা থাকেন একতলায়। বিভিন্ন সময় মুখোমুখি হয়েছে তারা। যেমনটা আর পাঁচটা ফ্ল্যাটে হয়। কিন্তু প্রতিবেশী যে এমন ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে, ভাবতেই পারছেন নিহতের পরিবার, এলাকার লোকজন। রবিবার সকালে মেয়েকে ময়লা ফেলতে পাঠিয়েছিলেন মা। নীচে নামে সে। এরপর আর ফেরেনি। মায়ের কথায়, “বলেছিলাম ময়লা ফেলে ২টো দুধের প্যাকেট নিয়ে চলে আয়। এরপর মেয়ে আর ঘরে আসেনি। সিঁড়ি থেকেই ওই লোকটা মেয়েকে টেনে ঘরে নিয়ে গিয়েছে। মাথা গর্ত করে দিয়েছে মেরে।” প্রাথমিক পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে এবার যা উঠে এল, তা আরও ভয়ঙ্কর, আরও নৃশংস। শুধুমাত্র বাবা হওয়ার স্বপ্ন থেকেই আরেক বাবার এমন সর্বনাশ করে বসলেন ওই প্রতিবেশী, উঠছে প্রশ্ন।

Next Article