
কলকাতা: কসবায় প্রথম প্ররোচনা চাকরিহারাদের তরফেই এসেছিল। পুলিশ শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আটাকানোর চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতেই শেষ পর্যন্ত ‘মৃদু বলপ্রয়োগে’ বাধ্য হয় পুলিশ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ফের একবার এ কথাই বলতে শোনা গেল কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি রূপেশ কুমার, কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভর্মাদের। কসবায় ডিআই অফিসের অভিযানের দিন শিক্ষকদের সঙ্গে বহিরাগতরাও ছিল, এদিন এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন সিপি। যদিও বিকাশ ভবনের সামনে থেকে চাকরিহারারা সাফ বললেন, “পুলিশ মিথ্যা কথা বলছে। আমাদের তরফ থেকে কোনও প্ররোচনা দেওয়া হয়নি। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে পুলিশ।”
যদিও সিপি মনোজ বর্মা বলছেন, “ওটা একটা শিক্ষকদের কর্মসূচি ছিল। কেউ ওখানে গিয়ে ওই পরিস্থিতি করবে এটা আশাপ্রদ ছিল? তালা লাগানো আর তালা ভাঙা দু’টো এক নয়।” যদিও বিকাশ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে আর এক চাকরিহারা বলছেন, “ওই দিন আমি হুগলি ডিআই-তে ছিলাম। সেখানে পুলিশ সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছিল। কসবায় হয়তো পুলিশ এমন কিছু করেছে যার জন্য এই গন্ডোগোল হয়েছে।” আর এক চাকরিহারা বলছেন, “যা অভিযোগ আনছে তা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন।”
ইতিমধ্যেই পুলিশের উপর হামলার ভিডিয়োও সামনে এনেছেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমার। তিনি বলছেন, পুলিশ ওনাদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু, ওনারা বল প্রয়োগ করতে থাকেন। পরিস্থিতি যা দাঁড়ায় তাতে শেষ পর্যন্ত ‘মিনিমাম ফোর্স’ প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় আবার তোপ দাগছেন পুলিশ কমিশনারের দিকেই। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে বলছেন, “কোনও সংবাদমাধ্যমের ছবিতে আমরা দেখিনি যে কোনও শিক্ষক মারমুখী হয়ে পুলিশকে মারতে গিয়েছে!”