কলকাতা: পথ দুর্ঘটনায় মত্যু হল দুই পুলিশ আধিকারিকের। জানা গিয়েছে, কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। গভীর রাতে একটি বেপরোয়া লরি এসে ধাক্কা মারে পুলিশের গাড়িতে। আহত হন চার পুলিশ আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় দুজনের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। বস্তুত, হাইওয়েতে ঘটা দুর্ঘটনার একটা বড় অংশই ‘হিট অ্য়ান্ড রান’ কেস হয়। যেখানে দুর্ঘটনার পর পালিয়ে যায় ঘাতক গাড়ি। অধিকাংশ দুর্ঘটনাই ঘটান ট্রাকচালকরা, এমনটাও অভিযোগ। এই ধরনের ঘটনা কমাতেই সম্প্রতি আইন কঠোর করেছে কেন্দ্র। ‘হিট অ্যান্ড রান’-র ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সংশোধিত আইনে সর্বোচ্চ সাজা ২ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়। এরপরই নতুন বছরের শুরু থেকে বিক্ষোভে পথে নামেন ট্রাকচালকরা। বিগত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছিল অচলাবস্থা। কিন্তু পরিস্থিতি বদলাচ্ছে কি? এ দিনের দুই পুলিশ কর্মীর মৃত্যু সেদিকেই আঙুল তুলে দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাগনান বরুণদা মুম্বই রোডে গভীর রাতে ডিউটি করছিলেন সুজয় দাস (সাব ইন্সপেক্টর), পলাশ সামন্ত (হোম গার্ড), অলোক বর (কনস্টেবল) ও সুকদেব বিশ্বাস (কনস্টেবল)। এছাড়াও ছিলেন বক্কর আলি যিনি গাড়ির চালক।
রোডের উপরই দাঁড়িয়েছিল পুলিশের গাড়িটি। সেই সময় কোলাঘাটের দিক থেকে বাগনানের দিকে আসা একটি বেপরোয়া লরি পুলিশের গাড়ির পিছনে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাব ইন্সপেক্টর সুজয় দাস ও পলাশ সামন্তর। এ দিকে, বিষয়টির খবর পেয়ে বাগনান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চারজনকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা সুজয় এবং পলাশকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আর দুই পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে দেখা করেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। স্থানীয় বাসিন্দা আর্য শাহ বলেন, “আমি আওয়াজ পেয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখি দুই পুলিশ মারা গিয়েছে। তিনজন আরও ছটফট করছেন। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”