
কলকাতা: আনন্দপুর ধর্ষণকাণ্ডে ধৃত যুবককে এদিন আদালতে তুলল পুলিশ। ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয় পুলিশের তরফে। তবে এদিনের শুনানিতে আদালতের তরফে বেশ কিছু সুস্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। ঘটনার সময় অভিযুক্তের পরনে থাকা পোশাক সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠাতে হবে বলেও নির্দেশ আদালতের।
একইসঙ্গে অভিযুক্তর মেডিকো লিগ্যাল পরীক্ষা করার কথাও বলছে আদালত। অর্থাৎ ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে পরীক্ষা হবে। ডিএনএ স্যাম্পেলও সংগ্রহ করতে হবে। অন্যদিকে পুরো ঘটনাক্রম জানতে ধৃতকে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে বলে মত পুলিশের। সে কারণেই হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সে কথা আদালতে জানান হয় পুলিশের তরফে। শেষ পর্যন্ত আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ধৃতের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মূল ঘটনার সূত্রপাত গত ২৬ তারিখে। অভিযোগ, যে ফ্ল্যাটে শহরে এক বেসরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী ছিলেন সেখানেই ঘটনার দিন এসেছিলেন অভিযুক্ত যুবক। তিনি আবার তার সহপাঠীও। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে দেওয়া হয়। তারপরই চলে অকথ্য নির্যাতন। চলতি মাসের ৮ তারিখ আনন্দপুর থানায় লিখিতি অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু শুরুতে ওই সহপাঠীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। সরকারি আইনজীবী সৌরিণ ঘোষাল বলছেন, “ছেলেটির বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগপত্রেও রয়েছে, গোপন জবানবন্দিতেও আছে। সে কারণেই আমরা পুলিশ হেফাজতের দাবি করেছিলাম। কোর্ট মান্যতা দিয়েছে।”